
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বোরো ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছিলেন না কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার শামছপাড়া এলাকার মৃত-নেজাব উদ্দিনের স্ত্রী কবিতন বেওয়া। খবর পেয়ে বাংলাদেশ কৃষকলীগ চিলমারী উপজেলা শাখার আহŸায়ক মোঃ আঃ বারী মিয়া নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই কৃষকের বাড়ীতে যান। শনিবার সকাল থেকে ওই কৃষকের ২১ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন কৃষকলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে একই এলাকার কৃষক আঃ কুদ্দুছের ১৫শতাংশ জমির ধান কাটেন তারা। এসময় ধান কাটা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন, কৃষকলীগ আহŸায়ক আঃ বারী মিয়া,যুগ্ম আহŸায়ক মোঃ গোলাম হায়দার, খোরশেদ আলম বিপ্লব, সদস্য আনোয়ার হোসেন পাপু, ইব্রাহিম আলী, জাহাঙ্গীর আলম, বুলবুলসহ প্রায় ২০জন নেতা-কমী। কৃষক কবিতন বেওয়া বলেন,জমির ধান পেকে যাওয়ায় কোন উপায়ান্তর না পেয়ে ধান বিক্রি করে মজুরী দেয়ার শর্তে ২ জন কামলা (শ্রমিক) নিয়েছিলেন তিনি,জমির কিছু অংশ ধান কেটেছেনও তারা। পরে কৃষকলীগ খবর পেয়ে আমার বাকী জমির ধান কেটে দেয়। কৃষকলীগ নেতা-কর্মীরা ধান কেটে দেয়ায় আমার
বেশ উপকার হয়েছে। উপজেলা কৃষকলীগ আহŸায়ক মোঃ আঃ বারী মিয়া বলেন,দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে
বাংলাদেশ কৃষকলীগ চিলমারী শাখার উদ্যোগে গবীর কৃষকদের ধান কেটে দেয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল কৃষকদের জমির ধান কাটা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।