বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

Headline :
চিলমারীতে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার- ৪ চিলমারীতে ৭৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ নারী আটক কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার চিলমারী সরকারী কলেজে নতুন অধ্যক্ষর যোগদান নৌডাকাতি রোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  রাজিবপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্রতিবাদ গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবীতে কাউনিয়ায় মুখে কালো পতাকা ধারণ করে বিক্ষোভ মিছিল গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চিলমারীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল চিলমারী মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সরঞ্জামসহ ৬ জুয়ারি গ্রেফতার  চিলমারীতে নানা আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস-২০২৫  পালিত

রাজিবপুরে গ্রামবাসির উদ্যোগে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বার্নাল নির্মাণ

রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি ও আবাদি জমি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাধ করা হবে, কিন্তু বাধ আর হয় না। এবছরও বাধ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই তাই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী, আমিনুর রহমান সহ এলাকার তরুণদের সহযোগিতায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নির্মাণ করছেন বাঁশের বার্ণাল।
বৃহস্পতিবার রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চর সাজাই গ্রামে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নির্মাণ করা হয়েছে ৬০ ফিট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বাঁশের বার্নাল। পর্যাক্রমে এভাবে ১৫ টি বার্নাল নির্মাণ করা হবে। চর সাজাই মধ্যপাড়া নামের গ্রামটি নদী ভাঙ্গনের ঝুকিতে আছে এই ইউনিয়নের উত্তর কোদালকাটি, পাই কান্ডারী পাড়া, বল্লভ পাড়া, সাজাই কারিগরপাড়া, শংকর মাধবপুর গ্রামগুলোর হাজারো মানুষ। স্বেচ্ছাসেবী আমিনুর রহমান এই কাজের মূল উদ্যোক্তা তার সাথে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় তরুণেরা। এলাকার প্রতিটি বাড়ি থেকে বাঁশ সংগ্রহ করা হয়, সেই সাথে সমর্থন অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য ও করে স্থানীয়রা। সেগুলো দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে নদী ভাঙ্গনে প্রতিরোধের বাশের বার্নাল। চর সাজাই পূর্ব পাড়া গ্রামের হানিফ উদ্দিন (৫৫) নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন প্রতিবছর শনি বাধ হবে কিন্তু বাধ আর হয়না। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সপের আলী বলেন অনেক চেষ্টা করা হয়েছে যাতে নদীভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  প্রশাসন থেকে কিন্তু কেউ কোন গুরুত্ব দেয়নি। প্রতিবছর নদীভাঙ্গনে ইউনিয়নের অনেক মানুষ ভিটেমাটি হারায়, কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। প্রতিটি  বার্নাল নির্মাণ করতে প্রায় ৪০০০ টাকার মত খরচ হয়, শ্রমিক খরচে চলে যায় ৩৬০০ টাকা। এই টাকা বেশির ভাগ সময় মানুষ সহায়তা করে, কখনো সংকট হলে আমিনুর রহমান নিজেই বহন করেন বাকি টাকা।
তাই এলাকা বাসীর দাবি সরকারিভাবে এখনই সহায়তা না করলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে কোদালকাটি ইউনিয়নের গ্রাম গুলো কে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *