নতুন অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতেই বাড়তি টাকা নিচ্ছে মোবাইল অপারেটগুলো। তাই বাজেট পাসের আগেই কেন মোবাইল সেবায় বাড়তি হারে সম্পূরক শুল্ক কাটা হচ্ছে তা জানতে চেয়ে অপারেটরদের চিঠি দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল শনিবার চারটি অপারেটরের কাছে ই-মেইলে পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পর তা ইতোমধ্যে আরোপ করা শুরু হয়েছে, এটি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কঠোর ব্যবস্থা হিসেবে অনাপত্তিপত্র (নো অপজেকশন সার্টিফিকেট-এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া এবং সব সেবা ও ট্যারিফ অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
জানা যায়, নতুন বাজেটে মোবাইল সেবায় যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। অর্থমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
বাজেটে ঘোষণা আসার পর এনবিআর এসআরও জারি করায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই মোবাইল সেবায় বাড়তি হারে সম্পূরক শুল্ক কাটা শুরু করে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। এর ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচ বেড়েছে গ্রাহকরদের।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক গণমাধ্যমকে রোববার জানান, এ বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা এর উত্তর দেবে।