ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মসজিদের সোলার, ব্যাটারী চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে অমানবিক নির্যাতন করেছে স্থানীয়রা। এঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক দুইজন হলো ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ ও স্থানীয় মাতাব্বর জাফর আলী।ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের মংলারকুটি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মংলারকুটি মসজিদের সোলারের ব্যাটারী চুরির সন্দেহে একই গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে কিশোর হাবিবুর রহমানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাছের সাথে বেধে বাঁশডলা দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।কিশোরকে নির্যাতনের সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওইসময় কিশোরের মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তার সামনে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। মারপিটে কিশোর মাহবুবুর অজ্ঞান হয়ে পরলে মায়ের সাথে বাড়িতে পাঠায় তারা ।পরে তাকে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ভর্তি করে তার মা।এদিকে এই অমানবিক ঘটনা এলাকায় আলোচনা সৃষ্টি হলে রাতেই অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, ১৫/১৬দিন আগে মংলার কুটি গ্রামের মসজিদ থেকে একটি সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারী চুরি হয়। চোর সন্দেহে স্থানীয় জাফর আলী মুন্সী, আব্দুল হান্নানসহ ১০/১২ জন মাহবুবুর রহমানকে (১৫) বাড়ি থেকে ডেকে এনে জাফর আলী মুন্সীর বাড়িতে ইউপি সদস্য রাজুর সামনে এ অমানবিক নির্যাতন চালায় তারা। তবে ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ এর পরিবারের লোকজনদের দাবী ওই কিশোরকে উদ্ধার করার জন্য সেখোনে গিয়েছিলো তিনি।
কচাকাটা থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছ এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।