
চিলমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
চিলমারী দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চিলমারীর বন্যা পরিস্থিতি মারাতœক অবনতি হয়ে পড়েছে। বন্যার পনি বৃদ্ধির কারণে দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন চিলমারীর মানুষজন। চারিদিকে যখন শুধুই পানি আর পানি তখন পানি থেকে বাঁচতে মানুষজন আশ্রয় নেয় কুড়িগ্রাম জেলার চিলমরী উপজেলার চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটিতে। আশ্রয়নটিতে ৫০টি পরিবার আশ্রয় নেয়। মাথা গোজার ঠাঁই পেলেও দুর্ভোগের শেষ নেই আশ্রিতদের। খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন তারা।
আশ্রয়ন কেন্দ্রটিতে পানি ধারনের জন্য পানির ট্যাংক ও পাম্প থাকলেও তা এখন বিকল। পানির লাইনের সামান্য ত্রুটির কারনেই পাম্পটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে একবুক পানিতে ভিজে যেতে হয় আশ্রিতদের।
রেজিয়া বেগম বলেন, বানের পানিত বাড়ীঘর সউগ ভাসি গেছে, এখানে আসি কোনমতে একনা আশ্রয় নিছি। আশ্রয় নিয়েও অসুবিদের শেষ নেই, ভাল খাবার পানি পাই না,আন্দাবাড়ী করার জন্য যে এহনা পানি পামো তাও মেলে না।
আলপনা বেগম জানায়, স্কুলে আসছি কিন্তুু কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের খবর নেয় নাই, কতটা কষ্ট করে আছি হামরা। এখানে পানির ট্যাংকি আছে মটর আছে কিন্তু চলে না, হামরা এক বুক পানি ভাঙ্গি মানষের বাড়ী খাকি পানি আনি খাবার নাইগছি। পানির মটরটা চালু করবের জন্যে স্কুলের পিয়নকে বলছি মেশিনটা ঠিক করার জন্যে সবাইরে কাছে ৫০ টাকা করে চাইছে পিয়ন, হামরা তো খুব বিপদে পরি আছি এখানে হামরা এ্যালা ৫০ টাকা কই পাই।
কোন উপায় না পেয়ে এখানকার আশ্রিতরা বন্যার পানিতে থালাবাসন পরিস্কার করে খাবার খাচ্ছেন সেই থালাবাসনে যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এতে তারা ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা সহ নানা রকম পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, ডব্লিউ, এম রায়হান শাহ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতেছি।