নার্সারি ব্যবসায় পুঁজি লাগে কম। পরিশ্রম ও একগ্রতা যুক্ত হলে সাফল্য সুনিশ্চিত। তাই রাজধানীর বহুমানুষের জীবিকার অবলম্বন নার্সারি ব্যবসা। এ ব্যবসায়ও করোনার বিরূপ প্রভাব। এ বছরের বৃক্ষমেলার আয়োজনও অনিশ্চয়তার দোলাচলে। বর্ষার সতেজ প্রকৃতিও চাঙ্গা করতে পারছেনা বৃক্ষবানিজ্য।
ড্রামে লাগানো আমগাছের সারি। থোকায় থোকায় আম। শাখা নুয়ে আছে ফলভারে। পাশেই লেবু গাছ। সবুজ স্বপ্নের মতো পাতা আর ফলের সম্ভার।
রাজধানীর নার্সাারিগুলোতে কী নেই? আমলকী, বাতাবিলেবু, জামরুল, লটকন সব গাছ আছে এসব ক্ষুদে বাগানে। মৌসুমের অমোঘ তাগিদে ফলভরা সব গাছ।
বর্ষাকাল নতুন গাছ রোপনের উৎকৃষ্ট সময়। নার্সারি মালিকরা বর্ষার অপেক্ষায় থাকেন বাড়তি লাভের আশায়। তারা নার্সারি সাজান ফল, ফুল, কাঠ, ওষুধি ও শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষরাজিতে।
নার্সারি কেবল কিছু মানুষের জীবিকার অবলম্বন নয়। পরিবেশে রক্ষা, বায়ুদূষণ হ্রাস ও জীববৈচিত্র সংরক্ষনে বহুমাত্রিক অবদানও রাখছে। করোনা মহামারীর কালে নার্সারিগুলোতে বেচাকেনা বন্ধ। তাই জীবনের গতিও স্লথ হয়ে আছে মালিকদের।
একুশে টেলিভিশনের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় নার্সারি ব্যবসায়িদের তারা জানায়, আগে অনেক বেচা কেনা থাকলেও এখন তেমন বেচা কেনা নেই। প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে।
নিয়ম অনুয়ায়ী প্রতিবছর ৫ জুন থেকে জাতীয় বৃক্ষমেলা শুরু হয়। স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় মেলার আয়োজন যৌক্তিক নয় বলে মনে করছে বনবিভাগ। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী একুশে টেলিভিশনকে জানায়, কোরনার সংক্রমনের কারণে এই মহূর্তে বৃক্ষমেলার আয়োজন উপযুক্ত সময় নয় বলে মনে করছেন তিনি।
বৃক্ষ প্রেমীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা গাছ ভালোবাসেন তারা যেন বৃক্ষ মেলার অপেক্ষায় না থেকে নার্সারীতে গিয়ে বৃক্ষ ক্রয় করেন। তবে রাজধানীর নার্সারিগুলো গাছে ভরা। কেউ চাইলেই সংগ্রহ করতে পারেন পছন্দের চারাগাছ। এমন পরামর্শ বন বিভাগের।