ভারতের কেরালায় ১৯০ আরোহীসহ এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১৯ জনে দাড়িয়েছে। বিমানের ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ করে কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্ত কমিটি। জীবিত উদ্ধার করা আরোহীদের মধ্যে দু’জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৫০ জনকে। ভারতের বিমান পরিবহন সংস্থা জানিয়েছে, করোনার কারণে দুবাইয়ে আটকে পড়াদের নিয়ে ফিরছিলো ‘বন্দে ভারত’ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত এক্সপ্রেস বিমানটি। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে বিমানটি পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের পর ছিটকে ৩৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে দু’ভাগ হয়।
নিহত হন পাইলট দীপক বসন্ত ও কো-পাইলট অখিলেশ কুমারসহ ১৯ জন। বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার ছিলেন দীপক। প্রায় তিন ঘন্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা আরোহীদের মধ্যে ১২৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯ বছর আগে এই বিমানবন্দরটিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছিলো। বিমানটিতে আগুন না লাগায় ব্যাপক প্রাণহানি হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গতিপথ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জানানো হয়, ভারি বৃষ্টিতে রানওয়ে অস্পষ্ট থাকায় আকাশে কয়েকবার চক্কর দেয় ও দু’বার অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছিলো বিমানটি।