মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে বহু পূর্বেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন অভাবনীয়, অকল্পনীয় ও বিস্ময়কর সব পরিকল্পনা করেছিলেন। যখন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠন ছিলো তার মূল টার্গেট, তার ভেতরে তিনি সমস্ত আইন প্রণয়ন করে গেছেন।
শনিবার (১৫ আগস্ট) পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।
মন্ত্রী বলেন, “যারা স্বাধীন বাংলাদেশে বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বিশ্বাস করেন তারা সকলে সোচ্চার থাকবেন, আবার যেনো কোনো ষড়যন্ত্র না হয়। যে ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর মতো আমাদের কাউকে হারাতে হয়, যে ষড়যন্ত্রে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আল বদর, আল শামস এবং প্রতিক্রিয়াশীলরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে রক্ষা করতে না পারার ব্যর্থতা ও কলঙ্কের দায় আমাদের সকলের। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।”
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা ও অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা যখন দেখি, তখন মনে হয় তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি হিসেবে আমাদের মাঝে আছেন। তিনি চান একটা সুশাসনের সরকার, যে সরকার এদেশের মানুষের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণ করবে। দেশকে উন্নত করবে। তিনি বাংলাদেশকে অভাবনীয় উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে এসেছেন। আমরা চাই বাংলাদেশ এগিয়ে চলুক অপ্রতিরোধ্য গতিতে, সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।”
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন।
এর আগে পিরোজপুর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলে যোগদান করেন তিনি। জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের অপর এক আলোচনা অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী।