
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজে জিও ব্যাগ না দিয়ে বøক ডাম্পিংসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের চলমান কাজের অনিয়মের অভিযোগকে ঘিরে এলাকাবাসী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকদের মাঝে বিরোধ চরমে উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাব-ঠিকার মাধ্যমে গায়ের জোড় দেখিয়ে কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছে। অপরদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবী তারা সিডিউল মেনেই কাজ করছে।
জানা গেছে,কড়ালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদের হাত থেকে চিলমারীকে রক্ষার জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ ৩য় ধাপে বরাদ্দের মাধ্যমে চলমান রয়েছে। উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর বরাবর কি.মি. ৫৬.৩০০ হতে কি.মি. ৫৬.৮০০ পর্যন্ত ৫০০ মিটার নদী তীর সংরক্ষনের কুড়ি/এডিপি/চিলমারী/পি-০৩/০৬
প্যাকেজ এর কাজ পায় ঢাকাস্থ টিটিএসএল-এলএ-এসআর(জয়েন্ট ভেঞ্চার) নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার চুক্তিমূল্য প্রায় সাড়ে ২৭ কোটি টাকা। চুক্তি মোতাবেক নদী তীর থেকে ২০মিটার এলাকা ঢালু হয়ে বøক পিচিং এবং এর পরবর্তী ৩০ মিটার
এলাকা খনন পূর্বক জিও ব্যাগ স্থাপনের উপরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বøক ডাম্পিং হওয়ার কথা থাকলেও খনন না করে এবং জিও ব্যাগ না ফেলে নৌকা দিয়ে বালির উপরে বøক ডাম্পিং করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে ফকিরেরহাট খারুয়ারপাড় এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকদের মধ্যে বাক- বিতন্ডার দৃশ্য চোখে পড়ে।
এসময় এলাকাবাসী গোলাম মোস্তফা, ইলিয়াছ, মিলন,শিমুল, দেলদার,সাহাবুল,রুবেল, বাদল, মোজাহার,নাজমুল, মতিয়ার, মজিবরসহ উপস্থিত অর্ধ শতাধিক জনতা অভিযোগ তুলে বলেন, তীর থেকে ঢালু ২০মিটার এর পর ৩০ মিটার এলাকা
নদী খনন করে জিও ব্যাগ ফেলে তার উপরে বøক ডাম্পিং না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাব-ঠিকার নামে এলাকার দু’একজনকে দিয়ে জোড় পূর্বক বালুর উপরে বøক ডাম্পিং করাচ্ছে।
তারা আরও বলেন,এভাবে ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে। অপরদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যসহকারীর দাবী তারা সিডিউল মোতাবেক খনন,জিও ব্যাগ স্থাপন ও বøক ডাম্পিং এর কাজ করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড এর এসডিই রফিকুল ইসলাম বলেন,আমাদের রেজিষ্টার মোতাবেক যেখানে খনন করে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে শুধু মাত্র সে জায়গায় বøক ডাম্পিং এর অনুমতি দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই সাইডের কিছু জায়গায় ২০মিটার এলাকা খনন পূর্বক জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে সে ২০মিটারের মধ্যে বøক ডাম্পিং চলছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে বাকি ১০মিটার এলাকা খনন
করে জিও ব্যাগ ও বøক ডাম্পিং করা হবে।