উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলো বৃষ্টি বেশি হওয়ায় ও উজানের ঢলে দেখা দিয়েছে বন্যা, বাড়তে শুরু করেছে নদ নদীর পানি গুলো। সাথে দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গেছে অনেক আবাদি জমি নষ্ট হতে শুরু করছে সদ্য রোপন করা ধানের রোয়া গুলো। নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। আর এই নদী ভাঙ্গন তো কুড়িগ্রাম জেলার নিত্য দিনের সঙ্গী বৃষ্টি ফলে বন্ধ হয়েছে মানুষের কাজ কর্ম, দেখা দিতে শুরু করেছে মানুষের কষ্টের দিন।
সরজমিনে গেলে দেখা যায় উলিপুর ও সুন্দরগন্জ উপজেলার মধ্যবর্তী কাশিমবাজার ও বজরায় নদী ভাঙ্গন। একজন বৃদ্ধা বলেন প্রতি বছরই বন্যা আসলে দেখা দেয় এখানে নদী ভাঙ্গন সাথে বিলীন হয়ে যায় অনেক আবাদি জমি ও বাজার, প্রতিষ্ঠান ও ঘর বাড়ি ভাংতে হয় নয় তো নদী গর্ভে পড়ে যায়। এবারের ভাঙ্গনে ৫-৭দিনের ব্যবধানে মধ্যে শত শত ঘর বাড়ি ভাংতে হইছে নদীর গর্ভে গেছে অনেক জমি। আর এভাবে ভাংতে থাকলে পুরো গ্রামটা চলে যাবে নদীর গর্ভে। যেখানে দিন আনি দিন খাই সেডে কেমন করি জায়া নেমো, বাপ দাদার জমি টেও নদিত গেলো এহন কি করমো হামরা। হামাক নদির হাত থাকি বাচাঁন তোমরা নইলে আমরা মরি যামো। তবে কি নদীর ভাংঙ্গনের হাত থেকে মুক্তি পাবে তারা? তাই এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন যেন নদী ভাংঙ্গন প্রতিরোধের জন্য করণীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে সরকার। তাহলে বেচেঁ যাবে গ্রামটি, বেচেঁ যাবে গ্রামের দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ গুলো ।