
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়সহ আশপাশের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। সব মিলিয়ে নাকাল উত্তরের জনজীবন।
রোববার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা চারদিন তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুক্রবার থেকে শুরু হয়। সেদিন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নেমেছিল তেঁতুলিয়ায়।
উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কিনতে না পারায় শীতে কষ্ট পাচ্ছেন তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, দেশে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে অতি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় এবং ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
রংপুর বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুন্ড, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, পাবনা, বদলগাছী, যশোর, কুমারখালী, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা ও ভোলা অঞ্চলের বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।