
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাসমান তেল ডিপোতে জালানী তেল সরবরাহ এবং ডিপো স্থায়ীকরণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘন্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে চিলমারীতে অবস্থিত ভাসমান তেল ডিপো দু’টিতে অ-ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট মুক্তকরন,পর্যাপ্ত পরিমানে জ্বালানী তেল মজুদ করে ট্যাংকলড়ির মাধ্যমে রংপুর বিভাগের সকল জেলায় সরবরাহের নির্দেশসহ ভাসমান ডিপোকে স্থায়ী শোর ডিপো হিসাবে স্থাপনের দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন,রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের চিলমারী শাখার সভাপতিবীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মেহাম্মদ, চিলমারী প্রেসক্লাব সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু,উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফা রঞ্জু,রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের চিলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম খুশু প্রমুখ।
মানববন্ধনে রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের চিলমারী শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মেহাম্মদ বলেন,চিলমারী নদী বন্দরে ১৯৮৯ সালে উত্তরবঙ্গের জ¦ালানী তেল সরবরাহের উদ্দেশ্যে তিনটি ভাসমান তেল ডিপো স্থাপিত হয়েছে। ইতোমধ্যে অবহেলা ও নজরদারীর অভাবে ভাসমান পদ্মা ডিপোটি চিলমারী হতে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতার সংকট ও উর্দ্বধতন কর্মকর্তাদের নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরে যমুনা ও মেঘনা ভাসমান তেল ডিপোতে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এতে করে কুড়িগ্রাম,লালমনিরহাট,জামালপুর,গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ বৃহত্তর রংপুর বিভাগের প্রায় অর্ধকোটি কৃষক, নৌযান,মৎসজীবি ও ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডিপোতে তেল সরবরাহ না করলে হরতাল, অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির নেবার হুশিয়ারী দেন তিনি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করে নেতৃবৃন্দ।