
গোলাম মাহবুব-
দীর্ঘ দিন যাবৎ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় অবস্থিত ভাসমান তেল ডিপো যমুনা ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের বার্জ দুটি তেল শূন্য অবস্থায় রয়েছে। ডিপো দু’টি তেল শূন্য হয়ে থাকায় এলাকায় তেলের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তেল নিয়ে আসা মেঘনা পেট্রোলিয়াম এর একটি জাহাজ নাব্যতা সংকটে গত ৩দিন ধরে বকসিগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ীর আনন্দবাজার নামক স্থানে আটকে পড়ে আছে। বিআইডবিøউটিএ’র সহায়তা পেলে জাহাজটি চিলমারী আসতে পারবে বলে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
জানাগেছে, যমুনা তেল ডিপোর আভ্যন্তরিন কোন্দলের ফলে গত বছর জানুয়ারীতে ডিপোটি তেল শুন্য হয়ে পড়ে। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে ডিপোটিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না থাকায় প্রায় ১বছর ধরে এটি তেল শুন্য রয়েছে। অপরদিকে মেঘনা তেল ডিপোটি গত ১৩ডিসেম্বর তেল শুন্য হয়ে পড়ে। গত মাসের প্রথম দিকে মেঘনা ডিপোর একটি জাহাজ ২লাখ ২৭হাজার লিটার তেল নিয়ে নাব্যতা সংকটের কারনে সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে ফেরত চলে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তেল এনে চড়া দামে বিক্রি করে কোন রকমে চলতি বোরো সৌসুম পারি জমাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে মেঘনা কোম্পানীর এমটি মধুকর নামে একটি জাহাজ ২লাখ ৬৭হাজার লিটার তেল নিয়ে চিলমারী রওনা দেয়। গত ১০ ফেব্রæয়ারী জাহাজটি নাব্যতা সংকটের কারনে বকসিগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ীর আনন্দবাজার নামক স্থানে আটকে যায় (ক্রাক গ্রাউন্ড করে)। সেখান থেকে জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে জাহাজটির সুপারভাইজার সেখানেই তেল খালাসের জন্য চিলমারী ডিপো সুপারের নিকট চিঠি লিখেন বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে মেঘনা ওয়েল কোম্পানীর ডিপো সুপার(অপারেশন) মোঃ আইয়ুব আলীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন,তেল নিয়ে আসা একটি জাহাজ নাব্যতা সংকটে নদীতে আটকে পড়ায় এটি নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে। বিআইডবিøউটিএ’র কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিলে জাহাজটি নিরাপদে ডিপোতে আসতে পারবে।