বুধবার , মে ২৪ ২০২৩
Home / জাতীয় / পরিকল্পিত উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে

পরিকল্পিত উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। শনিবার সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অতীতের সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রকল্পে লুটপাটের কারণে আমরা ক্রমশ: পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন প্রতিটি প্রকল্প স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের চাওয়া আমরা পূরণ করতে পেরেছি। মানুষ কি চায়, তা জানার জন্য আমরা ঘরে-ঘরে যাচ্ছি। গ্রামীণ উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছি।

নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র একসাথে চালাতে হবে, যা চালকের আসনে থেকে পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। সকল পর্যায় থেকে দূর্ণীতি দূর করতে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে করোনাকালীন এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুদ অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার রাশেদুল হাসান ও সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হচ্ছে। নৌ-পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ‘শেওলা স্থলবন্দর উন্নয়ন কাজের ভিত্তি-প্রস্তর’ স্থাপন করেন এবং বন্দরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজতর করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে এ শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে।

এ বন্দর দিয়ে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছরা, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পির্ঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা ইত্যাদি আমদানি এবং সকল পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।

ঢাকা থেকে এ বন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৮৬ কিলোমিটার। সড়কপথে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল রয়েছে। এ বন্দরের বিপরিতে রয়েছে আসামের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি স্থলবন্দর।

About admin

Check Also

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টনি ব্লেয়ারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।  (শনিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর …

কোভিডের তৃতীয় ও চুতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া সাময়িক বন্ধ

দেশে কোভিডের মজুতকৃত টিকার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তৃতীয় ও চুতুর্থ ডোজ দেওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে …

বীমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতি করে বীমার অর্থের দাবিদারদের ব্যাপারে বীমা কোম্পানিগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *