শনিবার , এপ্রিল ২০ ২০২৪
Home / সারা দেশ / প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নৌবন্দরকে কেন এত গুরুত্ব দিয়েছেন -এখানে না আসলে বুঝতাম না। -সচিব মামুন আল রশিদ

প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নৌবন্দরকে কেন এত গুরুত্ব দিয়েছেন -এখানে না আসলে বুঝতাম না। -সচিব মামুন আল রশিদ

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নৌবন্দরের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কেন এতো গুরুত্ব দিয়েছেন-এখানে না এলে বুঝতাম না। যেইমাত্র দেখেছি, ঐতিহাসিক চিলমারী বন্দরের নাম। তখনই এখানে আসবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আব্বাস উদ্দিনের গানের মধ্যে চিলমারী বন্দরের কথাটি আছে। বাস্তবে জায়গাটি দেখার ইচ্ছে ছিল আমার। আর তাছাড়া কোন স্থান না দেখে, সেই স্থান সর্ম্পকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা পছন্দ করেন যে, বাস্তবে দেখে এবং প্রকল্পের গুরুত্ব বুঝে,সেটা একনেকে উপস্থাপন করা হোক। কুড়িগ্রাম যে বৈচিত্রময় জায়গা,বৈচিত্রময় এখানকার ল্যান্ড স্কিল, এখানকার ইকোনমিক যে চাহিদা, সামাজিক যে চাহিদা এবং ভৌগলিক গুরুত্ব- তা বুঝেই প্রধানমন্ত্রী চিলমারী বন্দরের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি বন্দরে দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম, ইন্ডিয়া, নেপাল ও ভুটান-এখান থেকে খুব কাছাকাছি। বন্দর টি হলে সে সকল দেশ থেকে আমাদের এখানে বিভিন্ন মালামাল নৌপথে পরিবহণ করা সহজ হবে। পাশাপাশি আমাদের দেশ থেকেও ইট সহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি সহজতর হবে। গতকাল শনিবার পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সচিব মামুন আল-রশিদ চিলমারী নৌ বন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং কুড়িগ্রামের চিলমারী থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে কার্ডের মাধ্যমে ১০টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন,এ অঞ্চলে আর কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না, মঙ্গা হবে না, কেউ না খেয়ে দুঃখ-কষ্টে থাকবে না। কুড়িগ্রামের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের পদক্ষেপের পাশাপাশি সব উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন, রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ এবং নদী খননের মাধ্যমে চিলমারী নৌবন্দরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এই ঘোষণা দেবার ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কিছু এখনো বন্দরে গড়ে ওঠেনি এবং বন্দর নির্মাণের কাজও শুরু হয়নি।আর কতদিন লাগবে দৃশ্যমান বন্দর দেখতে ?- সাংবাদিকদের সম্পূরক এই প্রশ্নের জবাবে,সচিব মামুন আল-রশিদ বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী এখানে ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে অনেক বড় স্থাপনা নির্মাণ করা হবে ৫টি জায়গায়। এখানে জেটি থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী পরিবহণ ও মালামাল পরিবহনের সবকিছুর ফ্যাসিলিটিস থাকবে। আশার বাণী শুনিয়ে তিনি বলেন,এ প্রকল্প যাতে দ্রæত বাস্তবায়ন হয়,সে জন্য সামনের একনেকের বৈঠকে আমি আমার সর্বোচ্চ সিনসিয়ারিটি নিয়ে আমার দ্বায়িত্ব পালণ করব। আশা করছি দ্রæত কাজ শুরু হবে।
সকালে তিনি সড়ক পথে রংপুর থেকে চিলমারী আসেন। এসেই তিনি উপজেলার জোড়গাছ বাজার নৌঘাট এলাকা পরিদর্শন করে স্পীডবোট যোগে রমনা নৌঘাটে আসেন। রমনা নৌঘাট পরিদর্শন শেষে পুনরায় রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম, বিআইডবিøউটিএর চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম,চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডবিøউএম রায়হান শাহ, বিআইডবিøউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

About admin

Check Also

কুড়িগ্রামে পিক-আপে গানবাজনা ও বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানোয় অর্ধশত মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রামে নিরাপদ ঈদ আনন্দ নিশ্চিত ও ঈদের দিনে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর দায়ে …

রৌমারীতে ১৭শ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১ হাজার ৭১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একাধিক মাদক মামলার আসামি এনামুল …

উলিপুরে টাকার অভাবে নবজাতক বিক্রি, উদ্ধার করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রামের উলিপুরে টাকার অভাবে নবজাতক শিশুকে বিক্রির ঘটনায় ২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *