
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পাচ্ছেন না যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান রমু খান। তিনি গত ১১ মার্চ রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
নিয়োজিত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে বললেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে দীর্ঘ ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও তিনি উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। দলের দুঃসময়ে ত্যাগী এই যুবলীগ নেতা বিশেষ অবদান রাখলেও দুরারোধ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আজ মৃত্যুর পথযাত্রী। চিকিৎসক জানিয়েছেন দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা না করলে সে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। ব্যাধিগ্রস্ত রমু খানের পরিবার প্রধানমন্ত্রী সহ যুবলীগের
সংশ্লিষ্ট সকলের সহানুভূতি কামনা করেছেন। মিজানুর রহমান খান রমু কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক, সাবেক যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমান যুবলীগের আহবায়ক কমিটিতে আছেন। তার বড় ভাই মরহুম আইয়ুব আলী খান যুবলীগের সাবেক সফল সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
রমু খানের পরিবারের জানায়, রুমু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত দলীয় সহযোগিতা কিংবা কোন নেতা-কর্মী এগিয়ে আসেননি। তাঁকে দ্রæত দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি।
এ বিষয়ে কথা হলে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিন জানান, রমু খান ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের একজন ত্যাগী নেতা। তার দুর্দিনে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার। যারা দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসে আমাদের উচিত তার প্রয়োজনে এগিয়ে আসা। ত্যাগী নেতা রমু খানের মত যারা বঞ্চিত তাদের জন্য মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বর্তমান জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির জানান, কুড়িগ্রামে আওয়ামী রাজনীতিতে অনেক হাইব্রিড নেতা রাতারাতি অর্থ-বৈভবের মালিক হলেও ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়েছে বঞ্চিতদের তালিকায়। অনেকে নেতা-কর্মী আজ পেটপুরে খেতে পারে না। স্ত্রী- সন্তানদের নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন তারা। রমু খানের মত যারা দলের জন্য জীবন-যৌবন সব দিয়েও আজ নিজের চিকিৎসটুকু করাতে পাচ্ছেন না। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। আমি মাননীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।