চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কৃষি জমির ভীতর দিয়ে প্রবাহিত খাল(নালা)পুনঃখননের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রাম বিএডিসি কর্তপক্ষের যোগসাজসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে খাল খননের কাজ করায় সামান্য বৃষ্টিতে খালের মাটি নীচে পড়ে আবার খাল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। দায়সারাভাবে কাজ করলেও দেখার কেউ নেই।
জানাগেছে,কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীনে বিএডিসি অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে চিলমারী এলাকায় ৩.১০ কিলোমিটার খালের তলদেশ পুনঃখনন করা হচ্ছে।উপজেলার মাইলডাঙ্গা ব্রিজ হতে মাচাবান্ধা আকালুরঘাট ব্রিজ পর্যন্ত ৩.১০ কি.মি. খাল খনন ও ২টি ওয়াটার পাচিং স্ট্রাকচারসহ ২টি লটের কাজ চলছে যার প্রাক্কলিত মূল্য প্রায় সাড়ে ৩৬লাখ টাকা। ২৫নভেম্বর ২০২০ তারিখের কার্যাদেশ মোতাবেক কাজ শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে,নালাটির তলদেশ প্রস্থে ১৪ফুট ও গভীর ৫ফুট করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। শক্ত মাটিতে বক্সার তৈরী করে পাড় বাঁধার কথা থাকলেও সেখানে নতুন মাটি দিয়ে বক্সার তৈরী করে তার উপরে মাটি দেয়া হচ্ছে যা নিয়ম বহির্ভূত।খালের দুই পাড় সমান করে মাটিতে ঘাস লাগানোর কথা। সেখানে পাকা রাস্তা সংলগ্ন এলাকাসমুহে দায়সাড়াভাবে কিছু ঘাস ফেলে দেয়া হয়েছে যেগুলো পরিচর্যার অভাবে এখনই মরে যাচ্ছে। এতে করে একটু বৃষ্টি হলেই উপরের মাটি খালে পড়ে আবার খাল ভরাট হয়ে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। মাচাবান্দা ফকিরপাড়া এলাকার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, সোহাগ মিয়াসহ অনেকে বলেন, আগের নালাই(খাল) ভাল ছিল। যেভাবে নালা কাটছে বৃষ্টি হলে এর পাড় টিকবে না। সবুজপাড়া এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন,কাজ ঠিকমত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ পুনরায় কাজ করতে বলেছিল, সে মোতাবেক সামান্য জায়গায় কাজ করে আগের গতিতে চলে যায় তারা। সহঃঅধ্যাপক নুর আলম মুকুল, মিজানুর রহমানসহ অনেকে জানান, কর্তৃপক্ষের তাদারকি না থাকায় ঠিকাদারের লোকজন নিজ খেয়াল খুশি মত কাজ করেছে,এতে কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। ঠিকাদার হিরা মিয়া কাজে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন,সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে,এখনও কাজ শেষ হয়নি।
এব্যাপারে বিএডিসি কুড়িগ্রাম অফিসের সহকারী প্রকৌশলী ফারজুল আরেফিন জানান,উলিপুর ও চিলমারী উপজেলা মিলে মোট ৬.৮০ কি.মি খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে। এর বেশী কোন তথ্য তার কাছে নেই বলে তিনি উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতির সাথে আলোচনা করতে বলেন। উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডবিøউ এম রায়হান শাহ’র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি খাল খন্ধসঢ়;ন সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান।