
মাহফুজ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) থেকে : করোনা সংক্রমনের ঝুকি মোকাবিলায় সরকার সারা দেশে চলতি মাসের ১৪ তারিখে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। যা ২য় ধাপে বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। সারা দেশের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকরে গণপরিবহন বন্ধসহ সরকার ঘোষিত বিধি – নিষেধ মেনে চলতে নির্দেশনা আসে সরকারের তরফ থেকে। ঘোষিত লকডাউনের প্রভাব পড়েছে মানুষের জীবন-জীবিকায়। বিশেষ করে নাভিশ্বাস উঠে গেছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষের। পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য সহায়তার ঘোষণা আসে সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার ঋণের বিপরীতে কিস্তি উত্তোলন। যা সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ এনজিও গুলোও মেনে চলছে। কিন্তু হঠাৎই ব্যতিক্রম ঘটনার জন্ম দিল কুড়িগ্রাম- লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ফুলবাড়ী জোনাল অফিস। চলমান লকডাউনের মধ্যেই চলতিসহ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আল্টিমেটাম দিয়ে মাইকিং করতে দেখা গেছে উপজেলা জুড়ে। মাইকিং করে সকল শ্রেণীর গ্রাহককে বিদ্যুৎ অফিসসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অস্থায়ী বিশেষ বুথে এসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের করতে বলা হচ্ছে । অন্যথায় কোন নোটিশ ব্যতিরেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথাও শোনা গেছে ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের মাইকিং এ। লকডাউনের মাঝে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের মাইকিং করা হলেও মাইকিং কালে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি ছিল পুরপুরি উপেক্ষিত।
উপজেলার শাহবাজারে গিয়ে দেখা গেছে বিল আদায়ের বিশেষ বুথে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। বিল দিতে আসা গ্রাহকদের পাশাপাশি বুথ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের মুখেই দেখা যায় নি মাস্ক।
লকডাউনের মাঝে ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের তরফ থেকে বিল পরিশোধের আল্টিমেটাম দিয়ে প্রচারিত মাইকিং শুনে বিল দিতে এসে ক্ষোভ জানিয়েছেন সকল শ্রেণীর বিদ্যুৎ গ্রাহক।
উপজেলার শাহবাজারে অস্থায়ী বিশেষ বুথে বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা গ্রাহকরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, লকডাউনের মাঝে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের আল্টিমেটাম দুঃখজনক। এটা মরার উপড় খাড়ার ঘা মারা ছাড়া আর কি?
এব্যাপারে ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা মাইকিং করে বিল আদায় করছি। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে তিনি বলেন, কেউতো স্বাস্থ্যবিধি মানে না, বললে উল্টো বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখায়।
সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনের মাঝেই ফুলবাড়ী জোনাল অফিসের তরফ থেকে মাইকিং করে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে সর্বচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি সকলকে মানা উচিত।