
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
খুন-গুম আতঙ্কে দিন পার করছে কুড়িগ্রামের মোল্লাপাড়া গ্রামের মাইদুল ইসলামের পরিবার। থানায় অভিযোগ দিয়ে আশানুরুপ প্রতিকার পায়নি পরিবারটি। অভিযোগের ৭দিন অতিবাহিত হলেও হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। একাধিকবার থানা পুলিশকে বলেও প্রতিকার না পেয়ে চরম অনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। যে কোন মহুর্তে বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরতলির মোল্লাপাড়া গ্রামের মাইদুল ইসলামের পরিবারের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল একই এলাকার সাজ্জাদ গংয়ের সাথে। বিরোধের বিষয়টি মিমাংসার জন্য সালিশ-বৈঠকেও সুরাহা না হওয়ায় মাইদুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। যা আদালতে বিচারাধীন। মামলা রুজুর পর নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল সাজ্জাদ গং। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ এপ্রিল’২১ইং সন্ধ্যায় মাইদুলের বড় ভাই অটো রিক্সা নিয়ে বের হলে সাজ্জাদ ও স্বাধীন ফরিদ আলীকে মারপিট করতে যায়। এলাকাবাসী দৌড়ে এসে তাকে রক্ষা করে। পরে ওইদিন রাত ৮টার দিকে অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সঙ্গবদ্ধ দলটি মাইদুল ও তার ভাইয়ের থাকা ঘরে হামলা করে বাড়িঘর চূর্ণবিচূর্ণ করে এবং পরিবারের সবাইকে খুন-গুমের হুমকি প্রদর্শন করে।
ঘটনার দিন মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত করলেও ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। এরই সুযোগ বুঝে দুর্বৃত্তরা অনবরত খুন-গুমের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।
মাইদুল ইসলামের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ বলেন-অভিযোগের ৭দিন পার হলেও পুলিশ শুধু আপোষ মিমাংসা করে নেয়ার কথা বলছে। পুলিশের নীরবতায় বিবাদীরা আমার পরিবারকে নানাভাবে খুন-গুমের হুমকি দিয়ে আসছে। এদেশে কি আইন নেই? গরীবরা কি বিচার পাবে না?
কুড়িগ্রাম সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুস সাকিবকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোঃ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বলেন বিষয়টি এসআই সজিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।