
মাহফুজ, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়া। ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের জাদুর কাঠির স্পর্শে বদলে গেছে দাসিয়ারছড়ার দৃশ্যপট। ছিটমহলবাসীর জীবন মান উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ধারাবাহিক বাস্তবায়িত হচ্ছে এখানে।
সেই ধারাবাহিকতায় দাসিয়ারছড়ার কালির হাট বাজার হতে উত্তর ছিট চন্দ্রখানা মজিবরের মোড় ভায়া বানিয়াটারি পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫০০ মিটার জিপিএস সড়কের উন্নয়ন করণ কাজ ১ কোটি ২০ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৮০ টাকা চুক্তি মূল্যে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ৮-১২-২০২০ ইং কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৫-১২-২০২০ ইং তারিখে পাচলাইশ,চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স (প্রাঃ) লিমিটেড বাস্তবায়ন শুরু করে। যা ৩০-৫-২০২১ ইং তারিখে সমাপ্ত করার নির্দেশনা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের উন্নয়ন কাজের শুরুর থেকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে আসছে। সড়কের রেইজিং এ নিম্ন মানের ইট, খোয়া ব্যবহার করায় বাধা দেয় স্থানীয় জনগণ। বাধা দেয়ার এক পর্যায়ে নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের সাথে তুমুল বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন স্থানীয়রা। নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের দাপটের কাছে অসহায় স্থানীয়রা নির্মাণাধীন সড়কের অনিয়মের অভিযোগ জানান তোলেন। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জনগণের বাধাকে উপেক্ষা করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়েই সড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জুলফিকার আলীর কাছে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কের নির্মাণ কাজে নিম্ন মানের সামগ্রীর ব্যবহারের সত্যতা পেয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিত ভাবেই কাজ বন্ধ রেখে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
কিন্তু তাও আমলে নেয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।জনগণ ও স্থানীয় প্রকৌশল দপ্তরের বাধাকে উপেক্ষা করে তারা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়েই নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন।
আর তাদের হটকারিতায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সড়কটির স্থায়ীত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেন্দ্রনাথ বর্মণ, জহির মন্ডল,আলেফ উদ্দিন, মজিবর রহমান, রতন মিয়া বলেন, খারাপ ইট, খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ করায় তাদের কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তারা কোন কথাই কানে তোলে নি। তারা নিজেদের খেয়াল খুশিমতই কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজ তো আমাদের কোন উপকারে আসবে না। বরং ক’দিন পরেই আমাদের চলাচলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। এসব অনিয়ম দেখার কি কেউ নেই?
নির্মাধীন সড়কের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজিব বলেন, নিম্ন মানের ইট,খোয়া দিয়ে নির্মাণ কাজ করার বিষয়ে জানতে পেরে ওই ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট,খোয়া সরিয়ে নিতে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তারপরেও তারা কাজ করলে তাদের বিল দেয়া হবেনা, বলেন তিনি।