
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় বিয়ের দুই দিনের মাথায় স্বামীর সহযোগীতায় এক নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নববধুর ভাই বাদী হয়ে কচাকাটা থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করলেও পালিয়েছে স্বামীর দুলাভাই।
মঙ্গলবার (২৫ মে) উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সরকারটারী গ্রামে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। ওই নববধূকে বর্তমানে কচাকাটা থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। কচাকাটা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভুগী নববধূর ভাই জানান, গত ২৩ মে কেদার ইউনিয়নের শিপেরহাট গ্রামের লাল দেওয়ানীর (জাদক) এর ছেলে আব্দুল হাকিমের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। পরদিন ২৪ মে সন্ধ্যায় ওই নববধূ স্বামী আব্দুল হাকিমের ভগ্নিপতি ও একই ইউনিয়নের চাটাম ছড়ার পাড় শোভারকুটি গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে বাবু মিয়াসহ বাবার বাড়ি যান।
গত মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১১টার দিকে নববধূ তার স্বামী ও স্বামীর ভগ্নিপতি বাবু মিয়াসহ বাড়ির পাশে এক চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এসময় ওই বাড়ি ফাঁকা পেয়ে স্বামী হাকিমের সহযোগীতায় ওই নববধূকে ধর্ষণ করে বাবু মিয়া। পরে ভুক্তভোগী নববধূ ঘটনাটি তার পরিবারের কাছে প্রকাশ করলে নববধূর বড় ভাই বুধবার (২৬ মে) সকালে কচাকাটা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই নববধূকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয় এবং তার স্বামী আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে স্বামী আব্দুল হাকিমের সহযোগীতায় নববধূকে ধর্ষণ করে বাবু মিয়া। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রযেছে।
পুলিশ আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল হাকিম তার স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে নিজের সহযোগীতার কথা অস্বীকার করেছে। তাকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে তার অজান্তে তারই দুলাভাই নববধূকে ধর্ষণ করেছে বলে দাবি করেছে আব্দুল হাকিম।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত বাবু মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।