
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা কাশিপুর ইউনিয়নের কানাই চন্দ্র বর্মন(৮০)। বছর খানিক আগে হঠাৎ প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে কোমর থেকে পা পর্যন্ত অবশ হয়ে যায়। বদলে যায় তার জীবনের গতিপথ। একসময় যার উপার্জনে সংসার চলতো সেই মানুষটাই এখন সংসারের বোঝা। অভাবের সংসারে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। দিনমজুর ছেলেরা টানাটানির সংসারে অসুস্থ বাবার সামন্য আবদার মেটাতে অক্ষম। তাই তো অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় ঘরের কোণে কখনো বা উঠানে শুয়ে শুয়ে দিনরাত কাটে পঙ্গু কানাই চন্দ্র বর্মণের।
একসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চষে বেড়ানো মানুষটা কি বিছানায় শুয়ে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন? না, করেন না। তাইতো বিছানায় শুয়ে নয় বাড়ির বাইরে এসে পৃথিবীর মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে নিশ্বাস নেওয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটা হুইলচেয়ারের আকুতি জানান তিনি।
কানাই চন্দ্র বর্মণেরদদ এ আকুতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা দৃষ্টি গোচর হয় ফুলবাড়ী উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দের। তাৎক্ষণিক যুবলীগ নেতৃবৃন্দ কানাই চন্দ্র বর্মণের খোঁজ নেন এবং হুইলচেয়ার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৃহস্পতিবার ২৭ মে সন্ধ্যায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম মন্ডল বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক মিলনসহ যুবলীগ নেতৃবৃন্দ কানাই চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে গিয়ে তার কাঙ্খিত হুইলচেয়ারটি হস্তান্তর করেন। এসময় হুইলচেয়ার পেয়ে পঙ্গু কানাই চন্দ্র বমর্ণের দুচোখ বেয়ে আনন্দ অশ্রু ধারা নামে। হুইলচেয়ার প্রাপ্তিতে কানাই চন্দ্র বর্মণের অনুভূতি দেখে উপস্থিত সকলেই হতভম্ব হয়ে যান। উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, কানাই চন্দ্র বর্মণের এই আনন্দাশ্রু আগামীদিনে আমাদেরকে মানবিক কাজে অনুপ্রেরণা জোগাবে।