
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জমি অধিগ্রহণের টাকা না দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ করতে আসলে কাজে বাধা দেয় জমির মালিকরা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও জমি অধিগ্রহণ শাখার সমন্বয়হিনতার ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে এলাকাবাসীর ধারনা।
জানাগেছে,গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সীমানা দিয়ে তিস্তা নদী বয়ে গেছে। এ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেতুটি ১হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থ হবে। এটির স্প্যান হবে ৩১টি। সেতুটির উভয় পাশে ৮২ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক করা হবে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম অংশে ৬ কিলোমিটার ও গাইবান্ধা অংশে ৭৬ কিলোমিটার পড়েছে। সড়কটির প্রস্থ হবে ২৪ ফুট।
কুড়িগ্রাম অংশের চিলমারী উপজেলায় ২০১৯ সালে রাস্তার নক্সা মোতাবেক জমি অধগ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় ২কোটি ১৮লাখ ১৭হাজার টাকা ব্যায়ে ৬টি সেতুও নির্মান করা হয়।এরমধ্যে ২টি সেতুর কাজ এখনও চলমান রয়েছে। বর্তমানে রাস্তার মূল এল্যাইনমেন্ট বাদ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে এলোমেলোভাবে জমি অধিগ্রহণের খুটি স্থাপন করায় জমির ভিতরদিয়ে প্রবাহিত নতুন রাস্তার কাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি নবনির্মিত সেতুগুলিরও কিয়দংশ অধিগ্রহণকৃত জমির বাহিরে রয়েছে।
সরেজমিনে শনিবার দেখা যায়,উপজেলার পূর্ব মাচাবান্দা এলাকায় সাজু নামের এক ব্যাক্তি অধিগ্রহণের টাকা না পাওয়ায় রাস্তার কাজে বাধা প্রদান করে। মৌজাথানা এলাকার আজিমা বেগম নবনির্মিত সেতুর মুখে থাকা তার জমিতে ঘর উঠিয়ে কাজে বাধা প্রদান করেছে। এসময় উপজেলা সদরের কুষ্টারী এলাকার মৃত আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী আজিমা বেগম বলেন,নবনির্মিত সেতুর মুখে আমার জমি থাকলেও তা অধিগ্রহণ করা হয়নি। সেতুর মুখে অবস্থিত আমার জমির ছবিসহ অধিগ্রহণ শাখায় বার বার যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। বরং অধিগ্রহণ শাখা থেকে আমাকে বলা হয়েছে, জমির টাকা না পাওয়া পর্যন্ত জমিতে কাজ করতে দিবেন না। গোলাম হোসেন বলেন,জমি অধিগ্রহণের টাকা না দিয়ে জমিতে সেতু নির্মানের সময় বাধা দিয়েছিলাম।পরে চিন্তা-ভাবনা করে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সেতু নির্মাণ করতে দিয়েছি, অদ্যাবধি অধিগ্রহনের টাকা পাইনি। জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন,সংযোগ রাস্তার মূল এল্যাইমেন্ট বার বার পরিবর্তন করা ও এলজিইডির সাথে অধিগ্রহণ শাখার সমন্বয়হীনতার কারনে প্রকল্পের কাজ বার বার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না, মাঠ পর্যায়ে যা দেখলাম তা উপরে জানাবো।
অধিগ্রহণ শাখার সাথে প্রকৌশল বিভাগের কোন সমন্বয়হিনতা নেই উল্লেখ করে এলজিইডি কুড়িগ্রাম এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুর রহমান বলেন, জমি অধিগ্রণ তো আমরা করি না,অধিগ্রহণ করে ডিসি অফিস। এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে গেলে ডিসি অফিসের এলএ শাখার সাথে কথা বলতে হবে।