
ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজার এলাকায় আচমকা কয়েক সেকেন্ডের এক ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বেশকিছু বসতবাড়ী। ২৮ জুন সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ আচমকা ঝড়ের আঘাতে একটি বসতবাড়ী পুরোপুরি নিশ্চিহ্নসহ আরো ২০টির মত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়ের কবলে পড়ে আজিজুল হকের বসতবাড়ীর চারটি টিনের ঘর পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাড়ীর অদূরে তার জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মুরগির ফার্মটিও ঝড়ে উড়ে গেছে। আজিজুলের স্ত্রী জায়েদা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় রান্না ঘরে রান্না করছিলাম হঠাৎই ঝড় শুরু হয়। আমি বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে আসি। মুহূর্তেই আমার চোখের সামনে বাড়ীর সব গুলো ঘর ঝড়ে উড়ে নিয়ে গেল। এসময় আমি বাচ্চাদের আঁকড়ে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তারপরেও আমার ও বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছি। জায়দা বেগম নিজে ও বাচ্চাদের বাঁচাতে পারলেও ঝড়ের কবল থেকে বাঁচেনি বসতবাড়ীর কোনকিছুই। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের বেড়া,চালের টিনসহ আসবাবপত্র তছনছ হয়ে গেছে। আজিজুল হক বলেন, ঝরের আঘাতে আমার বসতঘর, ঘরের আসবাবপত্র, নগদ ১৭ হাজার টাকাসহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এখন বউ বাচ্চা নিয়ে আমাকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। আমি বউ বাচ্চা নিয়ে মাথা গোঁজার জন্য সরকারি সহায়তা চাই।বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আজিজুল। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ের তান্ডবে ওই এলাকার মজনু মিয়ার ২ টি, ছাবরুল হকের ২ টি জাহাঙ্গীর আলমের ১ টি আরিফুল হকের ২ টি, হামিদুল হকের ১ টি, জাবেদ আলীর ২ টি, আব্দুস সোবহানের ১ টি, এরশাদুল হকের ১টি, কপিল মিয়ার ১টি, জোবেদ আলীর ১টি মোজাম্মেল হকের ১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ের তান্ডবে ওখানকার বরেন্দ্রের গভীর নলকূপের পাকা দালান ঘর ভেঙ্গে মাটিতে মিশে গেছে।