মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

Headline :
চিলমারীতে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার- ৪ চিলমারীতে ৭৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ নারী আটক কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার চিলমারী সরকারী কলেজে নতুন অধ্যক্ষর যোগদান নৌডাকাতি রোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  রাজিবপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্রতিবাদ গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবীতে কাউনিয়ায় মুখে কালো পতাকা ধারণ করে বিক্ষোভ মিছিল গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চিলমারীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল চিলমারী মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সরঞ্জামসহ ৬ জুয়ারি গ্রেফতার  চিলমারীতে নানা আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস-২০২৫  পালিত

মমতাময়ীর মমতায় ৬ বছরে দাসিয়ারছড়া এখন আলোকিত জনপদ

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকণ্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার নিবিড় মমতা আর অকুণ্ঠ ভালোবাসায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়া এখন আলোকিত জনপদ।জাতির পিতার করে যাওয়া চুক্তি তাঁর সুযোগ্যকণ্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়।ফলে ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাত হতে দেশের অভ্যন্তরে থাকা সবগুলি ছিটমহল বাংলাদেশের মূলভূখন্ডের সাথে যুক্ত হয়।অবসান ঘটে ছিটমহলবাসীর দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দীদশার।ছিটমহলবাসীদের বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেই থেমে থাকেননি মানবতার জননী।তাদের খোঁজ নিতে নিজেই ছুটে আসেন দেশের সর্ববৃহৎ বিলুপ্ত ছিটমহল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়ায়।সরাসরি মতবিনিময় করেন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর সঙ্গে।শুনেন ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের বঞ্চনা আর বন্দীদশা জীবনযাপনের করুণ ইতিহাস। ঐ সময় জননেত্রী তাদের শুনান উন্নয়নের গল্পকথা।যে গল্প ছিল ভাগ্য বদলের,আলোয় আলোকিত হবার।আর তা বাস্তবেরূপ লাভ করতেও বেশি সময় লাগে নি।

ছিটমহল বিনিময়ের মাত্র ৬ বছর পূর্তি হয়েছে ৩১ জুলাই । খুব বেশি সময় নয়। এরই মধ্যে ফুলবাড়ীর বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুতের আলো, প্রশস্ত পাকা রাস্তা, সরকারি উদ্যোগে নির্মিত সুদৃশ্য মসজিদ-মন্দির, বিটিসিএল অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ, ডিজিটাল সেন্টার, স্কুল-কলেজ ও সরকারী মাদ্রাসা—উন্নয়নের জাদুর কাঠির স্পর্শে বদলে গিয়ে ছয় বছরেই এখন নতুন এক আলোকিত জনপদ দাসিয়ার ছড়া।
মুজিববর্ষে উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৮৬ লাখ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ এলাকার মানুষের আইসিটি প্রশিক্ষণ ও কর্ম সংস্থানের জন্য একটি দ্বিতল ডিজিটাল সার্ভিস ইমপ্লয়েন্টমেন্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টার।
এ ছাড়াও এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নকাজ হয়েছে দাসিয়ারছড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন,২৪ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, কালীর হাটে কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার, পাঁচটি মসজিদ, একটি মন্দির, একটি ব্রিজ, হতদরিদ্র পরিবারের ১০টি বসতবাড়ি নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ হাজার ৬৪৩ একর ও সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ৯ একর জমির প্রাকজরিপ শেষে খতিয়ান হস্তান্তর করা হয়েছে।স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। দাসিয়ারছড়াকে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তির ৭৫ দিনের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫৬২টি পরিবারে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।আরও দেওয়া হয়েছে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরেজমিন পরিদর্শনের পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারের সর্বোচ্চ মহল এখানকার সুবিধা-অসুবিধার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ডিজিটাল সাব সেন্টার থেকে স্বল্পমূল্যে দেওয়া হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা। ইউনিসেফের অর্থায়নে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি স্থাপন করেছে ১৫টি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছে ১৪টি মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্র। উপজেলা কৃষি অফিসের অর্থায়নে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। দাসিয়ারছড়ায় ঘরে ঘরে সুপেয় পানি আর স্যানিটেশন-ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে। আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বেকার যুব ও যুব মহিলাদের দেওয়া হয়েছে নানা ট্রেডে প্রশিক্ষণ। এখানকার বাসিন্দাগন এখন বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে রাস্ট্রীয় সকল সুবিধা পাচ্ছেন।বঙ্গবন্ধুকণ্যার গৃহীত সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্রুত বাস্তবায়নের ফলে দাসিয়ারছড়া এখন আলোকিত জনপদ।
দাসিয়ারছড়ায় ব্যাপক উন্নয়নের জন্য বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী আলোকিত দাসিয়ারছড়ার রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা করেন।আর ছিটমহল বিনিময়ের ৬ বছর পূ্র্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বুক ফুলিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন- আমরা নই ছিটবাসী, আমরা এখন বাংলাদেশী। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *