মঙ্গলবার , সেপ্টেম্বর ২৬ ২০২৩
Home / সারা দেশ / সরকারি খাতায় একই নামে দুটি মাদ্রাসা

সরকারি খাতায় একই নামে দুটি মাদ্রাসা

বরগুনার পাথরঘাটায় একই নামে সরকারি খাতায় দুটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কাগজ-কলমে দুটি মাদ্রাসা থাকলেও বাস্তবে রয়েছে একটি।

পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সুপারভাইজার মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা থেকে প্রথমে নাসির উদ্দিন প্রধান শিক্ষক এ মাদ্রাসাটির নাম আমরা পাঠিয়েছিলাম। পরবর্তীতে প্রণোদনা পাওয়ার সময় জাকির হোসেন প্রধান শিক্ষক ওই ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটির নাম এসেছে। তবে একই নামে দুটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থাকার বিষয়টি বেমানান।

ওই ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ও বর্তমানে বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক খান সালামতুল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে যে শিংড়াবুনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি রয়েছে ওই মাদ্রাসাটিই আসল ও পূর্বের সেই মাদ্রাসা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জলিলুর রহমান খান বলেন, শিংড়াবুনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের বাবা আবুল হাসেম হাওলাদারসহ হযরত আলী ও শাহজাহান হাওলাদার এ মাদ্রাসার জমিদাতা। একই সঙ্গে ওই তিন ব্যক্তি ১৯৮৪ সালে এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় খান সালামতল্লাহ প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দিলে জমিদাতা আবুল হাশেম হাওলাদারের ছেলে নাসির উদ্দিন এ মাদ্রাসার হাল ধরেন।

প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা পাঁচজন শিক্ষক দীর্ঘ বছর ধরে শিশু শিক্ষার ওই ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে জাকির হোসেন ও গোলাম কবিরসহ একটি চক্র শিংড়াবুনিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নাম ও মাদ্রাসার দলিল ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। সরকারি খাতায় ওই মাদ্রাসায় জাকির হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন। তবে কাগজ-কলমে ওই মাদ্রাসা থাকলেও বাস্তবে ওই মাদ্রাসার কোন অস্তিত্ব নেই।

তিনি আরও বলেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রণোদনার প্রথম কিস্তির টাকা ওই ভুয়া শিক্ষকরা নিয়ে গেছেন। আর প্রকৃত শিক্ষকরা ওই সরকারি প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সরেজমিনে তদন্তে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউএনও আমাদের কাগজে সই করে দিয়েছেন। আমাদেরও মাদ্রাসা আছে করোনার পর সব দেখা যাবে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, আমি পাথরঘাটায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।

 

About admin

Check Also

পুলিশ দম্পতি অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় তিন চক্রের সদস্য আটক

হাসনাত তুহিন, ফেনীঃ -ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল থেকে স্ত্রীসহ পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করে মুক্তিপণ …

কুড়িগ্রামে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কমিটি গঠন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ( স্বাচিপ) এর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার কমিটি গঠিত হয়েছে। …

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ৩১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জের ঘিওরে এস ডি আই সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় বানিয়াজুরী ইউনিয়নে ৩১ জন শিক্ষার্থীদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *