
মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ বসুনিয়া, বিশেষ প্রতিনিধি,কাউনিয়া (রংপুর) থেকেঃ
কাউনিয়ার টেপামধুপুর ইউনিয়নের চর গনাই গ্রামে তিস্তা নদীতে গোসল করতে নেমে স্রোতের টানে পানিতে ডুবে ঢাকার সিটিং সার্ভিস মৌমিতা পরিবহন নামে বাসের হেলপার শামীম মিয়া নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিন পর মঙ্গলবার সকালে (০৩ আগস্ট) তার লাশের সন্ধান মিলেছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গার্মেন্টস কর্মী ঈদের আগের দিন ঢাকা মোহাম্মদপুর থেকে মৌমিতা পরিবহন নামে একটি রিজার্ভ বাস নিয়ে গ্রামে আসে এবং ঈদের ছুটি শেষে আবার তারা ওই বাসে করে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার ২৩ জুলাই থেকে আবারো কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলে ঈদে গ্রামে আসা গার্মেন্টস কর্মীরা ও বাসের ড্রাইভার,কনন্ট্রাকটার,হেলপার বাস সহ গ্রামে আটকা পড়ে যায়। ওই মৌমিতা পরিবহনের ড্রাইভার,কনন্ট্রাকটার ও হেলপার স্থানীয় গোলজার বাজারে বাস রেখে তিস্তা নদীতে গত ২৬ জুলাই দুপুরে গোসল করতে নামে। নদীর স্রোতে তিন জনের মধ্যে হেলপার শামীম মিয়া পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। অপর দু’জন সাঁতরিয়ে নদীর কিনারায় উঠতে সক্ষম হয়। পরে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরীদল সাড়ে চারঘন্টা অভিযান চালিয়ে হেলপারের লাশ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন ও তার স্বজনরা প্রতিদিন নদীতে লাশের সন্ধান করতে থাকে। আজ মঙ্গলবার(০৩ আগস্ট) সকালে ওই নিখোঁজ হেলপারের লাশ ঘটনা স্থল থেকে প্রায় ৭শ’গজ দুরে ভাটিতে চরে আটকে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক নৌকার মাঝি। পরে স্থানীয় লোকজন তার লাশ চর থেকে উদ্ধার করেন। টেপামধুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মৌমিতা পরিবহনের হেলপার শামীম মিয়া তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া লাশ উদ্ধারের বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন।