শনিবার , এপ্রিল ১৩ ২০২৪
Home / সারা দেশ / নাগেশ্বরীতে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না শিক্ষার্থী

নাগেশ্বরীতে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না শিক্ষার্থী

মোঃ মজিবর রহমান,নাগেশ্বরী প্রতিনিধি:
নাগেশ্বরীতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না এক শিক্ষার্থী। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছে শিক্ষার্থী।
অভিযোগে সুত্রে যায়, গত ২০১৯ সালে সোনাইর খামার আলিম মাদ্রাসা থেকে মানবিক বিভাগে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে জিপিএ-৩.৭৬ পেয়ে উত্তীর্ন হয় রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গালীরবস গ্রামের আজগার আলীর ছেলে সুজন মিয়া। পরবর্তীতে সে ওই প্রতিষ্ঠানে আলিম শ্রেনিতে ভর্তি হয়,তার শ্রেনী রোল ০১। যথারীতি সে রেজিস্ট্রেশনের ফি বাবদ ৩শত টাকা এবং ২কপি ছবি জমা দেয়। সেশন অনুয়ায়ী ২০২১ সালে তার আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার কথা। গত ০১ আগস্ট সে মাদরাসায় অ্যাসানমেন্ট আনতে গেলে তাকে বলা হয় তালিকায় তোমার নাই। বিষয়টি সেদিন মাদরাসা অধ্যক্ষকে জানালে তিনি তার কথা কর্ণপাত না করে কাজের কথা বলে অফিস কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। ওইদিন বিকেলে সুজন তার বাবা আজগার আলীকে দিয়ে অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলান। তখন অধ্যক্ষ তাকে জানান তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। এবারে তার পরীক্ষা দেয়া হবে না। ২০২২ সালের জন্য সে যেন প্রস্তুতি নেয়। একটা বছর কোন বিষয় না। এ খবর শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সুজন। তাকে সান্তনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেন বাবা আজগার আলী ও তার মা কমলা বেগম। প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অধ্যক্ষকে না পেলেও প্রভাষক আনেয়ার হোসেনকে অফিসের কাজ করতে দেখা যায়। তার নিকট সুজনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যায়। অধ্যক্ষের কথা বললে, তিনি বলেন, আশে পাশে আছে, পরে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি ঢাকায় আছি, সুজনের বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি রেজিষ্ট্রেশনের ফি নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সুজনের যোগাযোগের অবহেলায় কারনে রেজিষ্ট্রেশন হয় নি। এ বিষয়ে সুজনের মা কমলা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ,ভাতের চাউল বিক্রি করে ছেলেকে প্রাইভেট পড়িয়েছি। এখন শুনি আমার ছেলে পরীক্ষা দিতে পারবেনা। আমরা কিভাবে ছেলেকে পড়া শুনা করাবো। এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরে কমলা বেগম। পরে এ ঘটনায় ৮ আগস্ট তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী সুজন। সে জানায়, আমি এখন কি করব। বছরজুড়ে প্রস্তুতি নিয়ে এখন শুনছি আমার রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার শিক্ষাজীবন থেকে হারিয়ে গেল একটি বছর। এর দায় নেবে কে? আমি পরীক্ষা দিতে চাই। আজগার আলী বলেন, আমার ছেলের শিক্ষাজীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোন অধিকার নেই অধ্যক্ষের। আমি এর বিচার চাই। অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান জানান, যেভাবে হোক হয়ে গেছে। এখন চাইলেও আমরা তার শিক্ষা জীবনের একবছর ফিরিয়ে দিতে পারব না। তাই ৮ আগস্ট সুজন ও তার বাবা আজগার আলীর সাথে বসে আমি তাদের বিষয়টি বুজিয়ে বলেছি। তাদের কথা দিয়েছি ২০২২ সালে আলিম পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে প্রাইভেট পড়া বাবদ যা খরচ লাগে তা প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হবে। তার ফরম পুরণ করা হবে প্রতিষ্ঠানের খরচে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অফিস খুললে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

About admin

Check Also

চিলমারীতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অসহায়, দুস্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করা …

চিলমারীতে বাংলাদেশ পুলিশের আয়োজনে গরীব ও দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

আলমগীর হোসাইন, বাংলাদেশ পুলিশের আয়োজনে ও কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পবিত্র রমজানে গরিব ও দুস্থদের …

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভাই-বোন আটক

আমিনুল ইসলাম আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয় থেকেঃ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়য়িায় কানরে গোপন ডভিাইসসহ ভাই-বোনকে আটক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *