চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
আগামী ১২সেপ্টেম্বর দেশব্যাপি উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ পাঠদানের উপযোগী করতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। অপরদিকে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানি বন্ধি রয়েছে।
জানাগেছে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে উপজেলার ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১২টি মাদ্রাসা,২টি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি কলেজের পাঠদান কার্যক্রম প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সরকার আগামী ১২সেপ্টেম্বর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে লক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হলেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার রাস্তাসহ প্রায় ১৫টি বিদ্যালয় এখনও পানি বন্দি রয়েছে। পানি বন্দি প্রতিষ্ঠান সমুহ পাঠ দানের উপযোগী করতে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারছেন না মর্মে প্রতিষ্ঠান প্রধানগন জানিয়েছেন।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,জোড়গাছ ব্যাপারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,পূর্ব মাচাবান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরপাত্রখাতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,খরখরিয়া ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার রাস্তা পানি বন্দি রয়েছে।বাকী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসা ও কলেজ সমুহে যথারীতি শ্রেণী পাঠদানের পূর্ব প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আবু সালেহ জানান,বন্যা পরিস্থিতির কারনে উপজেলায় মোট ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫টি বিদ্যালয় এখনও পানি বন্দি রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠান সমুহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণী পাঠ দানের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.তাহের আলী জানান,উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১২টি মাদ্রাসা,২টি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি কলেজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১২তারিখ থেকে শ্রেণী পাঠদানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।
