
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
আগামী কাল ১২সেপ্টেম্বর দেশব্যাপি উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ও ভবন নির্মানাধীন থাকায় ওই সব বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ন বিদ্যালয়ে পাঠদান নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্টদের দাবী শতভাগ বিদ্যালয়ে পাঠদানের পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে।
জানাগেছে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে উপজেলার ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১২টি মাদ্রাসা,২টি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি কলেজের পাঠদান কার্যক্রম প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সরকার আগামী কাল ১২সেপ্টেম্বর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে লক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হলেও অন্তত ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ও নতুন ভবন নির্মানাধীন থাকায় পাঠদানের জন্য শ্রেণী সংকট দেখা দিয়েছে।এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মানের জন্য পুরাতন ঘর অপসারনসহ বিভিন্ন কারনে শ্রেণী পাঠদানের জায়গা নেই। জরাজীর্ণ ও শ্রেণী সংকটে থাকা বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে,মাচাবান্দা ফকিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কিষামতবানু নালারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,সোনারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,নামাচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,পুটিমারী রুকুনুদ্দৌলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মগড়াকুড়া আকন্দপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর উদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবী শতভাগ বিদ্যালয় পাঠদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ফকিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন অপসারন করায় ছোট একটি ঘরে অফিসের আসবাবপত্র ও কিছু বেঞ্চ গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। সেখানে পাঠদানের কোন কক্ষ নেই। কিষামতবানু নালারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায় ছোট দুটি ঘরের মেঝেতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে।সোনারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায় নতুন ভবন নির্মানাধীন থাকায় পাশ্বের একটি স্যাঁত স্যাঁতে ঘর শ্রেণী পাঠদানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
মগড়াকুড়া আকন্দপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.শহিদুর রহমান বলেন, পাঠদানের জন্য ঘর মেরামত করা হচ্ছে তবে বিদ্যালয়ে বেঞ্চ সংকট রয়েছে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো.জাহেদুল ইসলাম বলেন,শ্রেণী সংকট থাকা বিদ্যালয়গুলি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আবু সালেহ জানান,দু’একটি বিদ্যালয় ছাড়া সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের পরিবেশ এবং অবকাঠোমো উভয়ই রয়েছে। প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।