শনিবার , এপ্রিল ২০ ২০২৪
Home / সারা দেশ / চিলমারীতে বিদ্যালয়ে যাওয়া ভূলে গেছেন এক স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

চিলমারীতে বিদ্যালয়ে যাওয়া ভূলে গেছেন এক স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দেড় বছরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া ভূলে গেছেন এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। দেশব্যাপি কয়েকদিন ধরে ঘটা করে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি চললেও ওই স্কুলটিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই।
জানাগেছে,দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারনে উপজেলার ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,১২টি মাদ্রাসা,২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি কলেজের পাঠদান কার্যক্রম প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ ছিল। সরকার গত ১২সেপ্টেম্বর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ খুলে দেয়ার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যথারীতি শ্রেণী পাঠদান অব্যাহত থাকলেও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের যাওয়ার কথা ভুলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে,রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১.১৫ মিনিটে গেলে শুধু মাত্র সাজেদুল ইসলাম মন্ডল নামের এক শিক্ষকের দেখা মেলে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো.বাবলু মিয়া,সহকারী শিক্ষক সবিতা রাণী ও মাহরুজা মুনসহ কোন শিক্ষার্থীকে স্কুলে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানায় প্রধান শিক্ষক বাবলু মিয়া মাঝে মধ্যে স্কুলে হাজিরা দেন। সরকারী ভাবে প্রাপ্ত কোন বরাদ্দের কাজ স্কুলটিতে দৃশ্যমান নয়। এমনকি তার বিরেুদ্ধে সরকারী বরাদ্দ স্বাপেক্ষে বাধ্যতামূলকভাবে নির্মিত শহীদ মিনার নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। দেশব্যাপি কয়েকদিন ধরে ঘটা করে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি চললেও ওই স্কুলটিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বালাই ছিল না। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্মিত শহীদ মিনারটিতে গরু-ছাগলের পায়খানা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
চর উদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.বাবলু মিয়া জানান,আমি গত কাল এবং আজ ছুটিতে ছিলাম। দুই সহকারী শিক্ষক কেন স্কুলে যায়নি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন,চর উদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছুটিতে আছেন। অনুপস্থিত দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আবু সালেহ সরকার বলেন,বিষয়টি আমার জানা ছিল না। প্রধান শিক্ষকের নিকট তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

About admin

Check Also

কুড়িগ্রামে পিক-আপে গানবাজনা ও বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানোয় অর্ধশত মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রামে নিরাপদ ঈদ আনন্দ নিশ্চিত ও ঈদের দিনে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর দায়ে …

রৌমারীতে ১৭শ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১ হাজার ৭১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একাধিক মাদক মামলার আসামি এনামুল …

উলিপুরে টাকার অভাবে নবজাতক বিক্রি, উদ্ধার করল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রামের উলিপুরে টাকার অভাবে নবজাতক শিশুকে বিক্রির ঘটনায় ২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *