আব্দুল হালিম,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে সরকারীভাবে গড়ে উঠছে একমাত্র পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র শাল্টি গোপালপুরের শালবন ইকোপার্ক। ইতোমধ্যে, শেষ হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ। দ্রুত গতিতে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে তৃতীয় ধাপের স্থাপনা উন্নয়ন। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান এমপি এঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দৃশ্যমান হচ্ছে ইকোপার্ক বাস্তবায়নের কাজ। ২০০৮ সালের দিকে জন প্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দাবি ছিল মিঠাপুকুরের শালবনকে ইকোপার্ক গঠনের। এ বিষয়ে তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমানের সহযোগীতা কামনা করেন। ২০১৩ সালে ২’শ ২৬ একর বনবিভাগের জমিতে শুরু হয় ইকোপার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ। ওই সময় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয় পাকা সড়ক, ২০টি ব্রেঞ্চ, দোলনা, পিকনিক স্পট, দর্শনার্থীদের জন্য কক্ষ, ওভারহেড পানির ট্যাঙ্ক, ছাতা, গোলঘর ও স্লিপার। নির্মানকাজ শেষ হতে না হতেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমে ওঠে শালবন ইকোপার্কে। এখন চলছে তৃতীয় ধাপের উন্নয়ন কাজ। প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়েছে সীমানা প্রাচীর। শাল্টি গোপালপুর বনবিট কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, মিঠাপুকুরের শাল্টি গোপালপুর শালবনে বিভিন্ন সময় দর্শনার্থীরা ভিড় জমাতো। কিন্তু, কোন অবকাঠামো ছিল না শালবনে। তখনকার জন প্রতিনিধিদের সহযোগীতায় আমি শালবনকে ইকোপার্ক গঠনের জন্য জন প্রশাসন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান এঁর সহযোগীতা কামনা করি। তিনি ২০১৩ সালে প্রথম বরাদ্দ দেন ইকোপার্ক নির্মাণের। এরপর চলতি বছরে তৃতীয় ধাপের উন্নয়ন কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, ইকোপার্ক পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি মিঠাপুকুরের একমাত্র সরকারী পর্যটন কেন্দ্র হবে এই ইকোপার্ক। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল কবীর বলেন, তৃতীয় ধাপে সীমানা প্রচীর নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।এখনও অবকাঠামোর কাজ আছে, নির্মাণ শেষ হলে দৃষ্টনন্দন হবে ইকোপার্কটি। এজন্য এইচএন আশিকুর রহমান এমপির সহযোগীতার কথা গোপালপুরবাসী চিরকাল স্বরণ রাখবে।