মঙ্গলবার , মার্চ ১৯ ২০২৪
Home / জাতীয় / ২০২১ সালে সারা দেশে দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬৮৯ নিহত

২০২১ সালে সারা দেশে দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬৮৯ নিহত

সদ্য বিদায়ী ২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক, নৌ ও রেল পথে মোট দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী গত এক বছরে দেশে ৪ হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৯ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০৫ জন।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নিসচা আয়োজিত ‘২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান উপস্থাপন’  অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের কাজটি করা হয়েছে পুরোপুরি সেকেন্ডারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। যেখানে ছিল ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, অনুমেয় বা অপ্রকাশিত ঘটনা এবং শাখা সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনের তথ্য। অনুষ্ঠানের শুরুতে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রকারভেদে দেখা যায়, সড়ক পথে ৩ হাজার ৭৯৩টি দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ২৮৯ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৪২৪ জন আহত হন; রেল পথে ২৭০টি দুর্ঘটনায় ২৫৪ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হন; নৌ পথে ৯০টি দুর্ঘটনায় ১৯৮ জন নিহত, ১৮৬ জন নিখোঁজ এবং ৩৩৯ জন আহত হন; অপ্রকাশিত তথ্যে প্রায় ৮৩০টি দুর্ঘটনায় ৯৪৮ জন নিহত হন। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তির পর এবং হাসপাতাল থেকে রিলিজের পর আনুমানিক ২০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে।

৩ বছরের সড়ক দুর্ঘটনার চিত্রে দেখা গেছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৯৮৩টি। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি হয়েছে ৮৯১টি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭০২টি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কম ৬১০টি। কিন্তু এবারে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনা বেশি লক্ষণীয়। যা ২০২০ সালের দুর্ঘটনার অনুপাত থেকে ২১ শতাংশ বেশি। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশেও এর ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে অফিস-আদালত, দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ থাকে। মূলত ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কম হওয়ার কথা তারপরও আগের বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হওয়াটা উদ্বেগের বলছে সংগঠনটি।

২০২১ সালে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে-সড়কের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্সের ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালনা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালনা বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, একই রাস্তায় বৈধ ও অবৈধ এবং দ্রুত ও শ্লথ যানবাহন চলাচল, রাস্তার পাশে হাটবাজার ও দোকানপাট থাকা।

অনুষ্ঠানে নিসচার মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবু, দুর্ঘটনা ও পরিসংখ্যান সম্পাদক সৈয়দ এহসানুল হক কামাল, বুয়েট অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

About admin

Check Also

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও স্বার্থরক্ষায় রাষ্ট্রকে ভুমিকা নিতে হবে: বিএমএসএফ

সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও স্বার্থ রক্ষায় রাষ্ট্রকে ভুমিকা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক …

ঢাকায় ফিরলেন পিটার হাস

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কলম্বো থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকায় …

পেছাল প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা

দ্বিতীয়বারের মতো পেছানো হলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সহকারী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *