চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করে ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস (চোখের প্রদাহ) রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। চোখ ওঠা রোগ নামে পরিচিত এই রোগে প্রতিদিন নানা বয়সর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।রোগীর সংখ্য বদ্ধি পাওয়ায় ফার্মেসীতে ড্রপ বা অয়েন্টমেন্ট সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে চোখ ওঠা একটি সাধারণ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার রমনা,থানাহাট,জোড়গাছ,রাণীগঞ্জ,অষ্টমীরচর, নয়ারহাট ও চিলমারীসহ বিভিন এলাকায় দেখা গেছে প্রতি ঘরে ঘরে ৩/৪ জন চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রতিটি শ্রেণিত ৮থেকে ১০জন শিক্ষার্থী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে একই খবর পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদর উপস্থিতি অনেকটা কমে গেছে বলে জানা যায়। এ রোগের প্রাদুর্ভাবের ফলে উপজেলার ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে এ ভাইরাসের ড্রপ কিংবা অয়েন্টমেন্ট সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার থানাহাট বাজারস্থ ঔষধ ব্যবাসায়ী মানিক চন্দ্র জানান,চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় আপাতত চোখ ওঠা রোগের ড্রপ সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়,গত কয়েক দিন উপজেলার বিভিন গ্রামে ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। রোগী বেশী হওয়ায় হাসপাতাল ফার্মাসীতে স্টকে থাকা ড্রপ কিংবা অয়েন্টমেন্ট শেষ হয়ে গেছে।
উপজলা স্বাস্ব্য ও প.প.কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম জানান,ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস(চোখ ওঠা) একটি সাধারণ ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ। কিছু নিয়ম মেনে চললে সাধারণত ৩দিন থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ সেরে যায়। এ রোগ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।