মাহফুজার রহমান মাহফুজ, ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে এক শিক্ষার্থী। তার নাম সজীব আলী। সে উপজেলার চর গোরক মন্ডল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডপ গ্রামের হুজুর আলী ও ছকিনা বেগম দম্পতির সন্তান। তার বৃত্তি পরীক্ষার রোল নম্বর -২৪।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, সজীব আলী ফরম পূরণ করলেও গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ওই কেন্দ্রের ১০১ নং কক্ষে সে অনুপস্থিত ছিল।
এদিকে ২৮ ফেব্রুয়ারী প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় উপজেলায় ৪৪ জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং ৩৭ জন শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। এদের মধ্যে ফলাফল সিটে সজীবের ২৪ রোল রয়েছে।
বুধবার সজীব আলীর সাথে কথা হলে সে জানায়, আমি চর গোড়ক মন্ডপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। আমি বৃত্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী ছিলাম। বৃত্তি পরীক্ষার্থী হিসেবে আমার নামও ছিল। কিন্তু পরীক্ষার সময় স্যার আমাকে জানায় নি আমাকে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। আমি পরীক্ষা দিতে যাই নি। পরে শুনি বৃত্তি রেজাল্ট বের হয়েছে। আর আমি সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছি। আমি তো পরীক্ষাই দেইনি বৃত্তি পেলাম কি করে!’
সজীব আলীর বাবা হুজুর আলী জানান,’ আমার ছেলে সজীব অত্যান্ত মেধাবী। স্কুলে সে দুই রোলের ছাত্র। মাস্টার এক রোলের ছাত্রকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমার ছেলেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে কোন ব্যবস্থা করে নাই। পরীক্ষা না দিয়েও আমার ছেলে কি ভাবে বৃত্তি পেল আমার বুঝে আসে না।
এ ব্যাপারে চর গোরকমন্ডল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম শফিকুল আলম জানান, ৭ জন শিক্ষার্থীর নাম ডিআর ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে তিন জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। তার মধ্যে সজীব একজন। রেজাল্টে কেন সজীবের নাম আসলো সে দায় কোন স্কুলের বা শিক্ষকের হতে পারে না’।
এব্যাপারে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, আমি ছুটিতে আছি তবে বিষয়টি শুনেছি। পরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে জেনেছি সজীব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ফলাফল সিটে তার রোল কিভাবে এসেছে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর কবির জানান, সজীব আলী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। আমরা তার বিষয়ে সব তথ্য আগেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার পরেও সে কেন বৃত্তি পেল তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো জানবে।