চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক কর্তৃক জাহাঙ্গীর আলম(৬০) নামে এক রোগীর মাথা ফাটিয়ে দেয়ার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা।
জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলম নামে এর রোগীকে মারধরের অভিযোগ তদন্তে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক অফিসার(আরএমও) ডা.রবিউল ইসলামকে প্রধান করে ডা.সুমাইয়া সাবরিন ও ডা.শাহাদত হোসেন শিমুল মিলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন প্রদান করবে।অপরদিকে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে। তারা আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য,উপজেলার মন্ডলপাড়া এলাকার মৃত শমছ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলম(৬০) ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে গত ২৮মার্চ তারিখে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গত বৃহস্পতিবার(৩০মার্চ) বিকালে তিনি ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মেডিকেল অফিসার ডা.মাহমুদুল হাসানের কাছে গেলে চিকিৎসকের সাথে বসে থাকা ঔষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি আরিফ,ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ে চিকিৎসক তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে রোগীকে মারধর করতে থাকলে রোগীর মাথা ফেটে যায় মর্মে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।