শনিবার , মে ১৮ ২০২৪
Home / সারা দেশ / নোয়াখালীর কারাগারে হাজতির মৃত্যু

নোয়াখালীর কারাগারে হাজতির মৃত্যু

নোয়াখালী জেলা কারাগারে বদিউল আলম (৭৬) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সেনবাগ থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় তিনি সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। 

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো শহীদুল ইসলাম। সোমবার রাত দেড়টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত বদিউল আলম সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।

জেলসুপার প্রণি ভূষণ দেবনাথ জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গত ২৫ সেপ্টেম্বরে বদিউল আলমকে গ্রেপ্তার করে সেনবাগ থানা পুলিশ। ওইদিন বিকেলে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে কারাগারের বয়স্ক হাজতীদের ওই ওয়ার্ডে ছিলেন। সোমবার রাত ১টার দিকে হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করলে তাকে কারাগার হাসপাতালের ২নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, জানান জেলসুপার।

জেলা পুলিশ সুপার মো শহীদুল ইসলাম জানান, মৃত হাজতির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

About admin

Check Also

রংপুরে কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা মেরাজ গ্রেফতার

রেখা মনি,রংপুর ব্যুরোঃ রংপুরে র‌্যাবের জালে বন্দি কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা মেরাজ।কয়েকদিন আগে রংপুর নগরীর গণেশপুরে হোটেল ব্যবসায়ীর উপর হামলাকারী কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা মো.মেরাজ (২০)কে গ্রেফতার করেছে রংপুর র‌্যাব-১৩।র‌্যাব বলছেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানা থেকে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (১২)মে বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৩ এর  উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি সুত্রে জানা গেছে,গত পহেলা মে রংপুর নগরীর গণেশপুর বকুলতলা এলাকায় মো. মিরাজ ও তার অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ভাই ভাই হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর সামনে পটকা ফুটাতে থাকে। তবে এঘটনায় ২জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাগেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-প্রধান আসামী মেরাজ ও শ্ওান। এতে হোটেল ম্যানেজার মো.শাহরিয়ার (২৬) বিরক্তি প্রকাশ করে কিশোরে বাবা মা এর কাছে তাদের নামে অভিযোগ বলে জানান।তখন সেখান থেকে চলে যায় তারা।পরেরদিন ২ মে মিরাজ ও তার কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র দা, লোহার ধারালো কিরিচ, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে ভাই ভাই হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এ হামলা চালায়। হামলায় হোটেলের ম্যানেজার  শাহরিয়ার গুরুতর আহত হন। কিশোর গ্যাংয়ের সেদিনের হামলার ভিডিও (সিসি টিভি ফুটেজ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর মেরাজের সাথে থাকা অন্য দুই জন পুলিশের কাছে গ্রেফতার হলেও মিরাজ গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় হোটেল মালিক বাদী হয়ে ওই দিনেই রংপুর কোতয়ালীয় ৩জনের নাম উলেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই রংপুর-র‌্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে (রোববার) মিঠাপুকুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা মো. মিরাজ কে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে রংপুর ‌র‌্যাব- ১৩ এর  উপ-পরিচালক (মিডিয়া) স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ জানান,গ্রেফতার কিশোর গ্যাংয়ের মুলহোতা মেরাজকে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে রংপুরে কিশোর গ্যাং মুক্ত করতে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং নজরদারি রয়েছে বলে র‌্যাব জানান।

বেলকুচিতে ভোট কেনার সময় ইউপি চেয়ারম্যান আটক

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামের পক্ষে দোয়াত কলম প্রতিকের পক্ষে টাকা দিয়ে ভোট …

বাগেরহাটে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ

বাগেরহাটের দুই উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *