চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে নয় ধরনের ট্যাবলেট। কোনোটা খাওয়ার আগে খেতে হয়, কোনোটা পরে। আছে সিরাপও। ওষুধ কিনতেই সব টাকা ফুঁ। ভাত খাওয়ার টাকা কোথায় পাবেন তিনি?
এমনই দুরবস্থা লোকশিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়ার। পরানের বন্ধুদের কেউ এখন পাশে নেই। টেলিভিশন, রেকর্ড কোম্পানি কিংবা যাঁরা গান করতে ডাকতেন, কেউ খোঁজ নেন না। সম্বল কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ১০ হাজার টাকা। দুস্থ শিল্পী হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি পেতেন ৫ হাজার টাকা। ২০১৪ সাল থেকে সে অঙ্ক দ্বিগুণ হয়ে প্রতি মাসে দাঁড়ায় ১০ হাজার টাকায়। এই টাকার সঙ্গে গান গেয়ে পাওয়া টাকায় বড় মেয়ে পুষ্প বেগম ও তিন নাতিকে নিয়ে কোনো রকম চলে যেত শিল্পীর। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর থেকে গান করা বন্ধ। বন্ধ আয়ের পথও।
হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে
গত ডিসেম্বরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন কাঙ্গালিনী সুফিয়া। তড়িঘড়ি করে নেওয়া হয় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাখা হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। চিকিৎসা ও নানা রকম পরীক্ষা করতে একগাদা টাকা খরচ হয়ে যায়। কাঙ্গালিনী সুফিয়া রোগী হয়ে এসেছেন শুনে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান।