আদি ইসলাম রাকিব। কিশোরগঞ্জ
পাকুন্দিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে ভাবিকে কুপিয়ে হত্যায় দেবর আজহারুল ইসলাম মিলন (৪৪) কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আজহারুল ইসলাম মিলন পাকুন্দিয়া উপজেলার পাকুন্দিয়া মধ্যপাড়া পর্দানীপাড়ার মৃত ছায়ামুদ্দিনের ছেলে।
অন্যদিকে নিহত তাছলিমা আক্তার (৪৫) একই উপজেলার ছয়ছির গ্রামের মৃত ফজর আলীর মেয়ে এবং পাকুন্দিয়া মধ্যপাড়া পর্দানীপাড়ার বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল মিয়ার স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, একটি কাঁথা হারানোকে কেন্দ্র করে দেবর-ভাবির মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে ২০১৫ সালের ১৫ই জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাকুন্দিয়া মধ্যপাড়া পর্দানীপাড়ার বাড়িতে ভাবি তাছলিমা আক্তারকে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দেবর আজহারুল ইসলাম মিলন। ভাবিকে কুপিয়ে আহত করার পর পরই দাসহ পাকুন্দিয়া থানায় সে আত্মসমর্পণ করে।
অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাছলিমাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিনই নিহত তাছলিমা আক্তারের বড় ভাই মো. শাহাব উদ্দিন ঘাতক দেবর আজহারুল ইসলাম মিলনকে একমাত্র আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরদিন ১৬ই জুন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আজহারুল ইসলাম মিলন। পরে ২০১৬ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রাব্বী আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেন।