কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্রীয় বাসষ্ট্যান্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোটর শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ৯জন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, ভূরুঙ্গামারী থানার একদল পুলিশ সাদা পোষাকে আসামি নিয়ে আসার পথে ওই এলাকায় যানজটে আটকা পড়ে।এসময় পুলিশের গাড়ির সামনে থাকা ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সহ সভাপতি আরিফকে সাইড দিতে বলে। যানজটের কারনে আরিফ অপরাগতা প্রকাশ করলে একজন পুলিশ সদস্য এসে আরিফকে কিল ঘুষি মারে। এতে আরিফ মোটর সাইকেল থেকে পড়ে যায় এবং তার নাক ফেটে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় শ্রমিক জনতা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে পুলিশের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলে পুলিশ তাকেও লাঞ্ছিত করে বলে জানা যায়। এতে শ্রমিক-জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করে রাখে।খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের অপর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছেলে মোটর শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজনের সাথে পুনরায় সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এতে পথচারী ও মোটর শ্রমিক সহ অন্তত ৯ জন আহত হয়।
উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ আমার সাথে খারাপ আচরণ করলে মটর শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা এর প্রতিবাদ করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী খোকন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এব্যাপারে সোমবার(১০ জুন) ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, শ্রমিকদের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারনে একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পরে তা সমাধান করা হয়েছে। রাবার বুলেট ছোঁড়া ও লাঠি চার্জের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন দুই রাউন্ড ফাকা গুলি ছোঁড়া হয়েছিল।