বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে ছোট জেলে নৌকাগুলোকে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের প্রবেশমুখে বিক্ষোভ করেছেন জেলে ও মাছ বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ মানুষ। এ সময় কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে ব্যস্ততম শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর ও আশপাশের সড়কগুলো। যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েন পথচারী ও যাত্রীরা।
সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকার বলেন, ছোট ছোট নৌকাও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনায় লাখ লাখ জেলে পরিবার, মাছ ব্যবসায়ী ও বোট মালিকের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। আমাদের দাবি- এসব ছোট ছোট বোট গভীর সাগরে যেতে পারে না, উপকূলে অল্প মাছ ধরে তাই তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে ঘোষণা দেওয়া হোক। আমাদের দাবি মেনে নিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি। আশাকরি এর মধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, স্টিলবডি ও কাঠবডির ফিশিং ট্রলারের ক্ষেত্রে প্রতি বছর প্রজনন মৌসুমে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। কারণ এসব ট্রলার নির্বিচারে বড় মাছের পাশাপাশি জাটকা, পোনা মাছ আহরণ করে। কিন্তু উপকূলীয় জেলেরা ছোট ছোট নৌযানে নির্দিষ্ট কিছু মাছই শুধু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এবার এসব প্রান্তিক জেলেরাও মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।