হত্যা মামলায় ২৩ বছর সাজা ভোগের পরে মুক্তি পাওয়া মর্জিনা বেগম (৫২) নামের এক নারী বন্দিকে সেলাই মেশিন প্রদান করেছে বাগেরহাট জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা কারাগার গেটে ওই নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন জেল সুপার মো. গোলাম দস্তগীর। এ সময় জেলার এসএম মহিউদ্দিন হায়দার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার এসএম নাজমুস সাকিবসহ জেলা কারাগারের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মর্জিনা বেগম মোরেলগঞ্জ উপজেলার গুয়োবাড়িয়া গ্রামের সাহেব আলী শেখের স্ত্রী। জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ২০ জুলাই স্বামীর বাড়িতে নিজ সতীনকে হত্যা করে দুই কন্যা সন্তানের জননী মর্জিনা বেগম।
ওইদিনই পুলিশ মর্জিনাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ২১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয় তাকে। পরে মামলার সাক্ষী-প্রমাণ শেষে আদালত মর্জিনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। যশোর কারাগারে ১০ বছর এবং বাগেরহাট কারাগারে অবশিষ্ট সময় কাটান মর্জিনা।
মর্জিনার ভালো আচরণের জন্য সাত বছর সাজা কমিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মর্জিনাকে মুক্তি দেয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। মর্জিনাকে নিতে আসা তার বড় বোন জোহরা বেগম ও মেয়ের জামাই হাসান ফরাজী বলেন, অনেকদিন সাজা ভোগের পর মর্জিনা বেগম বের হচ্ছে।
এ জন্য আমাদের খুব ভালো লাগছে। দীর্ঘ সময় আত্মীয়স্বজন থেকে দূরে থাকার যে কষ্ট সেও তা ভুলে যাবে। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন প্রদান করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষের এই মহানুভবতায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।
জেলার এসএম মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, ভালো আচরণের জন্য সাজা কমিয়ে নির্ধারিত সময়ের সাত বছর আগে মর্জিনাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
তাকে পুনর্বাসনের জন্য অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতির পক্ষ থেকে একটি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। সে যদি দোকান দিতে যায় তাহলে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।