উখিয়ার ২২টি ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ পেলেও এখানে থাকতে চাইছেন না। তারা চান, পরিপূর্ণ নাগরিকত্ব নিয়ে স্বদেশে ফিরে যেতে, নয়তো স্বাভাবিক জীবন যাপনের লক্ষে অন্য কোথাও চলে যেতে। একদিকে প্রচণ্ড গরমে জীবনযাত্রা কাহিল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে রয়েছে বর্ষায় পাহাড় ধ্বসের আশংকা।
কুতুপালং ক্যাম্পের বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতারা জানান, ক্যাম্পে দুর্ঘটনার আশংকা, সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারী রোহিঙ্গাদের চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম ইত্যাদি অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ রোহিঙ্গারা অস্বস্তিতে রয়েছেন। তারা ক্যাম্প ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. ফখরুল ইসলাম রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ত্যাগের ঘটনা ও সাগর পথে অনিশ্চিত মালয়েশিয়া যাত্রা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি নিজেরাই ইচ্ছামত ব্যবসা বাণিজ্য করে নিরাপদ জীবন যাপন করছে। কিন্তু কিছু দালাল চক্র তাদের মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশে পাঠানোর উৎসাহ জেগাচ্ছে।