বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

Headline :
চিলমারীতে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার- ৪ চিলমারীতে ৭৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ নারী আটক কুড়িগ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুর্জয় গ্রেফতার চিলমারী সরকারী কলেজে নতুন অধ্যক্ষর যোগদান নৌডাকাতি রোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  রাজিবপুরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের প্রতিবাদ গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবীতে কাউনিয়ায় মুখে কালো পতাকা ধারণ করে বিক্ষোভ মিছিল গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে চিলমারীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল চিলমারী মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সরঞ্জামসহ ৬ জুয়ারি গ্রেফতার  চিলমারীতে নানা আয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস-২০২৫  পালিত

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে ৬ দিনে আক্রান্ত ৬৪৩

চলতি মাসে ডেঙ্গু নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক রোগী রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে জুলাই মাসের ৬ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৩ জন। এ বছর জুনে হঠাৎ করেই ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার পর নানা পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নেমেছে দুই সিটি করপোরেশন। তবে তা কেবল লোক দেখানো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬৮৮ জন। তবে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় মৃতের সংখ্যা সেই অনুপাতে বাড়েনি বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা সচতেনতা সৃষ্টিতে সিটি করপোরেশন ব্যর্থ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীজুড়ে এখন একটি আতঙ্কের নাম- ডেঙ্গু। কেবল সরকারি হিসাবেই চলতি বছরে এই রোগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬৮৮ জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ আর হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি থাকায় মৃতের সংখ্যা সেই অনুপাতে বাড়েনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর হলি ফ্যামিলিতে ১৬, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৫, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৪, ঢাকা মেডিকেলে ১১ ও মিডফোর্ডে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের বেশিরভাগই মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের কমপ্লিকেশন কম হচ্ছে। যাদের আগের ডেঙ্গুর ইতিহাস আছে তাদের প্রেসার ও ব্লাড কাউন্ট অনেক কমে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, প্রথমবার আক্রান্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই বললেই চলে। তবে দ্বিতীয়-তৃতীয়বারে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। ম্যানেজমেন্ট সুন্দরভাবে চলছে বলেই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম।

নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ফগার মেশিন দিয়ে ক্রাশ প্রোগ্রামও চালানো যায়, অথচ আমাদের কাছে যেন এর কোনো মূল্যই নেই। যেসব জায়গায় জমানো জল রয়েছে, সেটা বাড়ি থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশনের নর্দমা, জলাধার পর্যন্ত সব চিহ্নিত করে প্রতিরোধকমূলক কার্যক্রম করার ক্ষেত্রেও কারো উৎসাহ তেমন নেই বললেই চলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *