মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
মোঃ হায়দার আলী, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
কড়া নজর দাড়ির মধ্য দিয়ে ঘুষ ও সুপারিশ মুক্ত ১২৯ জনকে ১০০ টাকায় চাকরি দিল নীলফামারী জেলা পুলিশ। ৯ জুলাই মঙ্গলবার নীলফামারী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন পিপিএম।
তিনি জানান, নীলফামারীতে মোট ১২৯ জনকে চাকরি প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে কৃষকের সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুরুষ ৮ জন ও সাধারন কোটায় ৩৮ জন ও নারী ৩ জন, প্রার্থী নিজে টিউশনি ইপিজেড ও অন্যভাবে আয়ের উপর চালিত ৩ জন, এতিম কোটায় ১ জন, আনসার সদস্য ১ জন, বাবা মৃত পুরুষ ৩ জন ও নারী ৩ জন, বাবা সরকারি চাকরি করে এমন পুরুষ ৪ জন ও নারী ৩, বাবা মসজিদের ইমাম রাজমিস্ত্রি লাইট মেকার পানের দোকানি এমন পুরুষ ৩ জন ও নারী ৪ জন, বিভিন্ন ব্যবসা পল্লি চিকিৎসক পুরুষ ৮ জন, বসতবাড়ি ছাড়া কোনো সম্পদ নাই এমন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুরুষ ১২ জন ও সাধারন কোটায় ৪ জন, বাবা দিন মজুর কুলি বা অন্যের বাড়ীতে কাজ করে এমন মুক্তিযোদ্ধাকোটায় পুরুষ ১ জন ও সাধারন ৫ জন, বাবা ভ্যান বা অটো চালক এমন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২ জন ও সাধারন ১ জন এবং পুরিশের চাকরি করে পিআরএল গমন করেছে এমন পুলিশের সন্তান পুরুষ ৮ জন ও নারী ২ জন। পুলিশের চাকরী প্রাপ্ত সুমন বলেন, “আমি টিউশনি করে চলি। আমরা তিন ভাই দুই বোন। এভাবে যে ১০০ টাকায় চাকরিটা পাবো কল্পনাই করিনি। কতই না শোনা যেত টাকা ছাড়া চাকরির হয় না। কিন্তু আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি চাকরির জন্য একটি টাকাও কোথাও খরচ করি নি । আমি ১০০ টাকায় চাকরি পেয়েছি।”
পুলিশের চাকরী প্রাপ্ত মাসুদা বলেন,“ বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ট্রেজারি চালান ফরম সংগ্রহ কওে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি খাতে ১’শ টাকা জমা করি। এরপর ২২ জুন শারীরিক পরীক্ষার দিনে পুলিশ লাইন্সে গিয়ে দাড়িয়ে প্রথম স্তরে সফলতা পাই। এরপর লিখিত পরীক্ষা এবং সাক্ষাৎকার শেষে আমি চাকরির জন্য নির্বাচিত হই।”
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন পিপিএম বলেন, “ ১০০ টাকায় আমরা চাকরি দিয়েছি। এজন্য কেউ যেন দালালের খপ্পরে পড়তে না হয় সেজন্য বিভিন্ন নাটকের আয়োজন করেছি, মাইকের মাধ্যমে জেলার মানুষকে সচেতন করেছি, বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে প্রচার চালিয়েছি, সচেতনতা এড়াতে হ্যান্ডবিল প্রচার করেছি। আমরা স্বচ্ছভাবে ঘুষ ব্যতিত নিয়োগ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, “ একজন প্রার্থী সব বিষয়ে ফিট ছিল তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তার মধ্যে নেশাগ্রস্থ চিহ্নিত হওয়ায় আর চাকরি পায় নি।