সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে সব গুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ীতে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২০টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ।
গ্রামীন রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষজন। কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর হাট সড়কের শুলকুর বাজার এলাকায় নির্মাণাধীণ ব্রীজের পাশের বাঁশের সাঁকো তলিয়ে উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী হাট যাত্রাপুরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঐ ব্রীজ এলাকায় লোকজন নৌকায় পাড়াপাড় করছে। নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন শাক-সবজি ক্ষেত। নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগাম ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলা শহরের চড়ুয়াপাড়া, চর ভেলাকোপা, কলেজপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি নিশষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলা বদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার পনিবন্দী জীবন যাপন করছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।