কুড়িগ্রাম প্রতনিধিঃ
গত কয়েকদিনে উজানের ঢল আর ভারী বর্ষণে কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, রৌমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী ও রাজারহাট উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় জানান, ৫০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে এসব পরিবারগুলোকে ঢেউটিন, খাদ্য সহায়তা ও অর্থ দেওয়া হয়েছে। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেয়েছি।
ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা অববাহিকার নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক-সবজিসহ আমন বীজতলা। মূলত চরাঞ্চলগুলোর বাড়ি-ঘরের চারপাশে পানি ওঠায় অনেকটা পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে নদীর তীরের পরিবারগুলো।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, রৌমারীতে বেশকিছু এলাকা নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। নদীভাঙন রোধে কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেলেও বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী কোনোও প্রতিকার সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার আশঙ্কা করছে এ অঞ্চলের মানুষ।