আর মাত্র একটি ম্যাচেই বোঝা যাবে এবারের বিশ্বকাপে কারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লন্ডনের লর্ডসে আগামীকাল রোববারই নির্ধারণ হয়ে যাবে চার বছরের জন্য সেরা দল। গত আসরের রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মধ্যে হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। মরগ্যানের হাত দিয়েই বিশ্বকাপের খরা ঘুচবে; এমন স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। এদিকে কিউইরা গত আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল, গতবারের দুঃখ এবার ঘোচাতে মরিয়া উইলিয়ামসনরাও।
নজর থাকবে যাদের ওপর…
উইলিয়ামসন-মরগ্যান
কেন উইলিয়ামসন। ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। সেমিফাইনালেও ভারতের বিপক্ষে অর্ধশত রানের ইনিংস খেলে বাঁচিয়েছেন ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে। ৮ ম্যাচে তার রান ৫০৮।
ইয়ন মরগ্যান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ে যায় ইংল্যান্ড। সেই হারের তিক্ত স্বাদ ভুলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে নিয়ে এসেছেন এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। চলতি বিশ্বকাপে তার রান ২৪৫ হলেও নেতৃত্বগুণে দলকে নিয়ে এসেছেন ফাইনালে।
ফাইনালে এই দুইজনের উপর আলাদা নজর থাকবে। এদিন মাঠে যিনি মাইন্ড গেইম দিয়ে খেলতে পারবেন তিনিই হবেন নায়ক।
মার্টিন গাপটিল-জেসন রয়
দুইজনই ওপেনার। জেসন রয় ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেললেও মার্টিন গাপটিল এক ম্যাচ ছাড়া ব্যাট হাতে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। তবে সেমিফাইনালে সরাসরি থ্রোতে ধোনিকে আউট করে সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছেন বিশ্বজুড়ে। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের তুরুপের তাস হতে পারেন গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা এই ওপেনার। অন্যদিকে জেসন রয়ের দিকে মরগ্যানরা তাকিয়ে থাকবেন একটি চমৎকার শুরু করার জন্য।
ম্যাট হ্যানরি-ক্রিস ওকস
ম্যাট হ্যানরি সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে কোহলিদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অন্যতম ফেভারিট ভারত। অন্যদিকে ক্রিস ওকসও শুরুতে অজিদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ধাক্কা সামলে না উঠতে পেরে ২২৩ রানেই থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
ফাইনালে দুই দলের অধিনায়করা তাকিয়ে থাকবেন এই দুইজনের দিকে। বল হাতে এরা যেকোনো সময় হয়ে উঠতে পারেন ভয়ংকর।