রাশিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে ৫০ হাজার পানিবন্দি পরিবার ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন-কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে দুর্ভোগ নিরসনের আশ্বাস তিনি।
১৩ জুলাই শনিবার সকালে ধরলা ও ব্রহ্মপূত্রের পানি বিপদসীমার ৩৫ ও ৬ সেমিন্টমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এর প্রভাব পরতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চল এলাকায়। ইতিমধ্যে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপূত্র নদের দু’শতাধিক চরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হুমকিতে রয়েছে বাঁধ ও সড়ক। অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়তে থাকায় বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছে পানিবন্দি মানুষ। কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহে ভাঙ্গনে ২০টি পরিবার গৃহহীন ও যাত্রাপুরে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব ও রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা ও রামহরি মৌজার দেড় শতাধিক পরিবার। গত এক সপ্তাহে চতুরা মৌজায় ১২০টি বাড়ী নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে কালিরহাট বাজার, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ আবাদি জমিন।
পানিবন্দি এলাকা ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন-কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে দুর্ভোগ নিরসনের আশ্বাস তিনি।
১৩ জুলাই সকালে জেলা সদরের মোগলবাসা, ঘোগাদহ ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৫০ হাজার বন্যা কবলিত মানুষের দূর্ভোগ নিরসনে সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোঁজ খবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নবাব আলী, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাইদুল ইসলাম, ঘোগাদহ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল প্রমূখ।
পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শনকালে এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষভাবে আহবান করেছেন। আমার এ ঝটিকা অভিযান তারই অংশ।