রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পল্লীনিবাসে। তাকে কোথায় দাফন করা হবে এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।এরশাদের কফিনবাহী গাড়িতে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা। তিনি পল্লীনিবাসের লিচুতলায় এরশাদের দাফন করার ঘোষণা দিয়েছেন।এরশাদের জানাজায় ইমামতি করেন রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহম্মদ ইদ্রিস আলী। জানাজা শুরু হয় দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে। শেষ হয় ২টা ২৯ মিনিটে।জানাজা শেষে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এরশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।জানাজার আগে এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়ে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।রংপুরের মেয়র পল্লীবন্ধুকে রংপুরে পল্লীনিবাসে খোঁড়া কবরে সমাহিত করার ঘোষণা দেন। পরে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।এরপরই লাশবাহী গাড়ি পল্লীনিবাসের উদ্দেশে রওনা হয়।এরশাদকে বহনকারী বিমানবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবতরণ করে। পরে ১২টা ১৫ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে কালেক্টরেট মাঠে এরশাদের মরদেহ নেয়া হয়। সেখানে এরশাদের লাশ গ্রহণ করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ নেতাকর্মীরা।সেখানে পল্লীবন্ধুর কফিন পৌঁছলে তাকে ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। অনেককে চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।এদিকে চতুর্থ জানাজা শেষে এরশাদের লাশ রংপুরের পল্লী নিবাসে দাফন করার দাবি জানিয়ে মিছিল শুরু করেন কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় তাদের ‘পল্লীবন্ধুর সমাধি পল্লী নিবাসে হবে’ লেখা ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।রংপুর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বলছেন এরশাদের অন্তিম চাওয়া ছিল তাকে রংপুরেই দাফন করা হোক। সে জন্য পল্লী নিবাসের লিচুতলায় কবর খনন করা হয়েছে। রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বলেন, জানাজা শেষে স্যারের (এরশাদ) মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পল্লী নিবাসে। সেখানে লিচুতলায় তাকে দাফন করা হবে। এ জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।রংপুরের মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ‘যেকোনো মূল্যে’ এরশাদের মরদেহ রংপুরে রেখে দেবেন। এরশাদকে রংপুরেই দাফন করা হবে।প্রসঙ্গত রোববার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন। রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদে দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে আজ তাকে দাফন করা হবে।
Check Also
কুড়িগ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান’র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক …
চিলমারীতে ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ’র আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
আলমগীর হোসাইন, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াল্ড …
চিলমারীতে সাবেক ইউপি সদস্যের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে দুষ্কৃত এক পরিবার
চিলমারী প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ধান ক্ষেত দেখে বাড়ী ফেরার পথে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে মারধর …